কলকাতা: নিছক একজন মন্ত্রী নন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাপটের কথা ছিল সবারই জানা। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘ সময় খাদ্য দফতর সামলেছেন তিনি। আর সেই সময় নির্দ্বিধায় প্রয়োগ করেছেন নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা। সেই জোরেই কোটি কোটি টাকাও গিয়েছিল তাঁর পকেটে। রেশন দুর্নীতির তদন্তে এমনটাই দাবি করল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সস্তায় কেনা ধান খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করে কীভাবে লাভবান হয়েছিলেন বালু, সেই তথ্যই উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। সম্প্রতি বন দফতরে বালুর অফিসে হানা দেয় ইডি। সেখান থেকেই এই নথি পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। আর সেই লেনদেনে বাকিবুর-যোগ স্পষ্ট বলেও দাবি গোয়েন্দাদের।
সম্প্রতি অরণ্য ভবনে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখানে ৬০০ বেশি ব্ল্যাঙ্ক স্ট্যাম্প পেপার মিলেছে মন্ত্রীর চেম্বার থেকে। এছাড়া ১০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ও জীবন বিমার নথিও পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে খবর, সেই তল্লাশিতেই আরও এক কোটির হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
সূত্রের খবর, মন্ত্রী নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনিভাবে ধান কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ধান বিক্রির নথি বালুর চেম্বারেই রাখা ছিল বলে দাবি করেছে ইডি। আর সেই ধান বিক্রি করা হত বাকিবুরের মাধ্যমে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেই সংক্রান্ত প্রচুর চুক্তিপত্রও।
ইডি-র তদন্তে উঠে আসছে, নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কেনার ব্যবস্থা করতেন বালু। এরপর বাকিবুর রহমানের মতো চালকল ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সেই ধান থেকে চাল বের করা হত। তারপর তা খোলা বাজারে বিক্রি করা হত চড়া দামে। সেই খাতেই ১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে সূত্রের খবর।