Higher Secondary : উচ্চ মাধ্যমিকে রিভিউয়ের জন্য রেকর্ড আবেদন
Higher Secondary : ২০১৯ সালে রিভিউয়ের আবেদন জমা পড়েছিল ১৯ হাজার ৮১৮টি। এ বার তা ৮৫ হাজারের বেশি। ফলে ২০১৯ সালের চেয়ে এবার ৬৫ হাজারের বেশি রিভিউয়ের আবেদন জমা পড়েছে।
কলকাতা : সব বিষয়ে রিভিউ এবং স্ক্রুটিনি। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তের পর এ বছর রেকর্ড সংখ্যক রিভিউয়ের আবেদন জমা পড়েছে। রিভিউয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৮৫ হাজার ২২৪টি। আর স্ক্রটিনির জন্য ৮৩৬১টি আবেদন জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৯৩ হাজার ৫৮৫টি আবেদন এসেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে। মোট ৫১ হাজার ৫১৯ জন পরীক্ষা এই আবেদন জানিয়েছেন। যেখানে ২০১৯ সালে রিভিউয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ১৯ হাজার ৮১৮টি।
এ বছর হোম সেন্টারে পরীক্ষা হয়েছিল। ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৮৬২ জন পরীক্ষা দেন। পরীক্ষার ৪৪ দিনের মাথায় ১০ জুন ফল প্রকাশ করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পাশের হার ৮৮.৪ শতাংশ। ফল ঘোষণা পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অকৃতকার্যরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেউ অভিযোগ করেন, খাতা ঠিকমতো দেখা হয়নি। কারও দাবি, তাঁরা ফেল করতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ রিভিউ ও স্ক্রটিনির দিন ঘোষণা করে। অন্য বছর দুটি বিষয়ে রিভিউয়ের আবেদন জানাতে পারতেন পরীক্ষার্থীরা। এ বার সংসদের তরফে জানানো হয়, সব বিষয়ে রিভিউয়ের আবেদন জানানো যাবে। তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র এই বছরের জন্য। সংসদের তরফে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষার্থীরা ২০ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত খাতা রিভিউ ও স্ক্রটিনির জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। আবেদন জানানো যেত শুধু অনলাইনে। সংসদের দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার পর দেখা গেল, রিভিউ ও স্ক্রটিনির জন্য মোট ৯৩ হাজার ৫৮৫টি আবেদন জমা পড়েছে।
করোনার জন্য ২০২০ সালে সব পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ওই বছর প্রথমে কিছু পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছিল। এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, সব পরীক্ষা না দিয়ে কী করে অকৃতকার্য হলেন তাঁরা। পরে ১০০ শতাংশ পরীক্ষার্থীকে পাশ করানো হয়। সংসদের তরফে বলা হয়, স্কুলের কিছু ত্রুটির জন্য আগের ফল প্রকাশে গন্ডগোল হয়েছিল। ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। গত বছরও ১০০ শতাংশ পরীক্ষার্থীকে পাশ করানো হয়।
এ বছরের আগে ২০১৯ সালে সম্পূর্ণ পরীক্ষা হয়েছিল। ওই বছর রিভিউয়ের আবেদন জমা পড়েছিল ১৯ হাজার ৮১৮টি। তবে স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ৮৫ হাজার ২৭৬টি। সবমিলিয়ে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৯৪টি আবেদন জমা পড়েছিল। মোট ৪০ হাজার ২৭৯ জন আবেদন জানিয়েছিলেন। ফলে ২০১৯ সালের চেয়ে এবার ৬৫ হাজারের বেশি রিভিউয়ের আবেদন জমা পড়েছে।