Recruitment Scam: ‘SSC-পর্ষদের অফিসে তালা মেরে দিন’, বলে দিল হাইকোর্ট
Recruitment Scam: সিআইডি-কে বিচারপতি পরামর্শ দেন, "যদি কোন কর্মীর নথি কমিশন বা পর্ষদের কাছ থেকে না পাওয়া যায়, তাহলে সরাসরি স্কুলে যান। সেখান থেকে নথি সংগ্রহ করুন। এটা কি বিরাট কোন কাজ? " বিচারপতির প্রশ্ন, "আমি কি এখানে বসব, নাকি আপনাদের সিটে যোগদান করব ?"
কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে তালা মেরে দিন। এরাই তথ্য প্রমাণ নষ্ট করছে। গোথা হাইস্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনাতিতে মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিনের মামলার শুনানিতে সিআইডি আদালতে জানায়, গোথা হাইস্কুল সংক্রান্ত মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়টি জানার পরই বিচারপতি ক্ষুব্ধ হন। এই মন্তব্য করেন। এরপর বিচারপতি বলেন, “সিআইডি-র ওপর আমার আস্থা আছে। কিন্তু যদি এফআইআর-এ নাম থাকা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে কি তদন্ত হচ্ছে ?”
সিআইডি-কে বিচারপতি পরামর্শ দেন, “যদি কোন কর্মীর নথি কমিশন বা পর্ষদের কাছ থেকে না পাওয়া যায়, তাহলে সরাসরি স্কুলে যান। সেখান থেকে নথি সংগ্রহ করুন। এটা কি বিরাট কোন কাজ? ” বিচারপতির প্রশ্ন, “আমি কি এখানে বসব, নাকি আপনাদের সিটে যোগদান করব ?”
সিআইডি বিচারপতির কাছে আরও ১৫ দিন সময় চেয়ে নেয়। বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “যাঁদের নাম দুর্নীতির অভিযোগ আসছে, তাঁদের কাছ থেকে বেতন ফেরত নেওয়া যায় কিনা সেটা বিবেচনা করে দেখুন।”
গোথা হাইস্কুল মামলায় বুধবার সকালে ডিআইজি সিআইডিকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। গোথা হাইস্কুলের এক শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কার্যত কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে। তদন্তের মাঝেই সিআইডি-র হাতে জমা পড়ে এক সরকারি আধিকারিকের চিঠি। মামলার সূত্রে খামে ভরে সেই চিঠি জমা পড়েছে আদালতে। অভিযোগ, জিটিএ এলাকায় অর্থাৎ পাহাড়ে ৩২৩ জন শিক্ষকের নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে।