Bagtui Massacre: তদন্ত প্রায় শেষ, বগটুই-কাণ্ডে আসল অপরাধী কে? জানা যাবে শীঘ্রই
Bagtui Massacre: বীরভূমের ওই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত ১০ জনের।
কলকাতা : বগটুই- কাণ্ডে তদন্ত প্রায় শেষের পথে। মঙ্গলবার তদন্তের অগ্রগতির দ্বিতীয় রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। বগটুই হত্যাকাণ্ড এবং ভাদু শেখ খুনের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিটও জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিন কেন্দ্রের করফে অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল আদালতে জানিয়েছেন চার্জশিট দিতে প্রস্তুত সিবিআই। আগামী ১৩ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।
চার্জশিট পেশ হলেই কারা অপরাধী, সেটা উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বীরভূমের বগটুইতে গত মার্চ মাসে যা ঘটেছে, সাম্প্রতিককালে তা নিয়ে কার্যত তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। শাসক দল, পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন ওঠে। বিরোধীরা সরব হয় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই আদালতের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই।
গত ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের। সেই ঘটনার পর রাতেই বগটুইয়ে ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতিবেশীদের অনেকেই দেখেছিলেন সেই নৃশংস ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, শুধু পুড়িয়ে নয়, ধারাল অস্ত্রের কোপও দেওয়া হয় শরীরে। পরের দিন সকালে আটজনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়। দিন কয়েক পরে আরও একজন মারা যান। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ১০।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করেন তিনি। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই ঘটনায় তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারও করা হয়। ওই রাতে এতবড় হত্যাকাণ্ড হয়ে গেল, অথচ পুলিশ কী করছিল? নিরাপত্তা চাওয়া সত্ত্বেও কেন প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা করা হল না? সে সব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
