BSF: সিতাইকাণ্ডকে সামনে রেখেই বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়ে প্রস্তাব আনা হচ্ছে বিধানসভায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 13, 2021 | 1:08 AM

BSF: শুক্রবার ভোরে কোচবিহারের সিতাই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।

Follow Us

কলকাতা: একদিকে সিতাইকাণ্ড নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সেই ঝড়কেই ‘মিতে’ করে এবার বিধানসভায় নয়া প্রস্তাব আনতে চলেছে সরকার। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে ১৮৫ নম্বর ধারায় আগামী মঙ্গলবার বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব আনা হচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা হবে।

সূত্রের খবর, বিএসএফ নিয়ে আলোচনায় বিধানসভায় থাকতে পারেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে দেড় ঘণ্টার এই আলোচনা পর্ব রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে কোনও ভাবেই পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করতে নারাজ রাজ্য।

শুক্রবার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিধানসভায় আমরা বিএসএফের নজরদারির যে সীমানা যা ১৫ কিলোমিটার ছিল, যাকে বাড়িতে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা ১৮৫ বিধানসভার যে রুল তাতে একটা আলোচনার জন্য এনেছি। সেটা গৃহীত হয়েছে। ১৬ তারিখ তা নিয়ে আলোচনা হবে। দেড় ঘণ্টার আলোচনাপর্ব।”

বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হলে তার প্রভাব কী হতে পারে সে বিষয়ে বলতে গিয়ে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজও তো দেখলেন একটা ঘটনা ঘটল। আমাদের ভয়টা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে, রাজ্য পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে তা সামলাচ্ছে। সীমানা সামলানোর দায়িত্ব বিএসএফের। এখন এরকম কিছু হলে নিশ্চয়ই সমন্বয়ের অভাব ঘটবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিএসএফ অ্যাক্টে অনুমোদন নেই। ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যে বিজ্ঞপ্তি, যে চিঠি তা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করব।”

দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী অথবা বিএসএফ (BSF) কে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার তিনটি রাজ্যে সীমানার ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা পাবে বিএসএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী পঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে। যা মানতে নারাজ রাজ্য।

এরই মধ্যে শুক্রবার ভোরে কোচবিহারের সিতাই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। তাঁরা গরুপাচারকারী বলে অভিযোগ ওঠে। একজন ভারতীয় ও দু’জন বাংলাদেশি এই ঘটনায় নিহত হন বলে খবর। সাতভাণ্ডারীতে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিএসএফ জানিয়েছে, দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

এই ঘটনাকে সামনে রেখেই এবার শাসকদল বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে চরম বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে। সিতাইয়ের ঘটনায় দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ শুক্রবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “ভারতীয় সীমান্তের ১৫০ গজ ভিতরে কাঁটা তারের বেড়া। ভারত তার নিজের জায়গা ছেড়ে কাঁটা তারের বেড়া দিচ্ছে। যত জুলুম ভারতীয়দের ওপর। বিএসএফের কী জুলুম আমরা জানি। আমরা যারা সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করি, আমরা জানি। আমাদের পর্যন্তও ছাড়ে না ওরা। গাড়ি আটকে নানা প্রশ্ন করে বিব্রত করে। সাধারণ মানুষও ওপরেও ওদের অত্যাচার বাড়বে।”

এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের অলিখিত এজেন্ডা হল ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী সে বিএসএফ হোক, সেনাবাহিনী হোক তাদের কালিমালিপ্ত করা। তাতে আমাদের শত্রু রাষ্ট্রদের সুবিধা হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের যে নেতারা সীমান্তে রাজনীতি করেন তাঁরা গরু পাচারে যুক্ত। গরুগুলো তো প্যারাশুটে চেপে সীমান্তে গিয়ে পড়ে না। পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় সড়কপথ ধরেই পৌঁছয় সীমান্তে। সে সব রাস্তা পুলিশের এক্তিয়ারভূক্ত।”

আরও পড়ুন: Cooch Behar BSF: সিতাই সীমান্তে বিএসএফের গুলি, নিহত ৪ ‘ গরু পাচারকারি’

কলকাতা: একদিকে সিতাইকাণ্ড নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সেই ঝড়কেই ‘মিতে’ করে এবার বিধানসভায় নয়া প্রস্তাব আনতে চলেছে সরকার। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে ১৮৫ নম্বর ধারায় আগামী মঙ্গলবার বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব আনা হচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা হবে।

সূত্রের খবর, বিএসএফ নিয়ে আলোচনায় বিধানসভায় থাকতে পারেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে দেড় ঘণ্টার এই আলোচনা পর্ব রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে কোনও ভাবেই পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করতে নারাজ রাজ্য।

শুক্রবার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিধানসভায় আমরা বিএসএফের নজরদারির যে সীমানা যা ১৫ কিলোমিটার ছিল, যাকে বাড়িতে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা ১৮৫ বিধানসভার যে রুল তাতে একটা আলোচনার জন্য এনেছি। সেটা গৃহীত হয়েছে। ১৬ তারিখ তা নিয়ে আলোচনা হবে। দেড় ঘণ্টার আলোচনাপর্ব।”

বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হলে তার প্রভাব কী হতে পারে সে বিষয়ে বলতে গিয়ে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজও তো দেখলেন একটা ঘটনা ঘটল। আমাদের ভয়টা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে, রাজ্য পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে তা সামলাচ্ছে। সীমানা সামলানোর দায়িত্ব বিএসএফের। এখন এরকম কিছু হলে নিশ্চয়ই সমন্বয়ের অভাব ঘটবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিএসএফ অ্যাক্টে অনুমোদন নেই। ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যে বিজ্ঞপ্তি, যে চিঠি তা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করব।”

দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী অথবা বিএসএফ (BSF) কে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার তিনটি রাজ্যে সীমানার ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা পাবে বিএসএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী পঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে। যা মানতে নারাজ রাজ্য।

এরই মধ্যে শুক্রবার ভোরে কোচবিহারের সিতাই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। তাঁরা গরুপাচারকারী বলে অভিযোগ ওঠে। একজন ভারতীয় ও দু’জন বাংলাদেশি এই ঘটনায় নিহত হন বলে খবর। সাতভাণ্ডারীতে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিএসএফ জানিয়েছে, দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

এই ঘটনাকে সামনে রেখেই এবার শাসকদল বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে চরম বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে। সিতাইয়ের ঘটনায় দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ শুক্রবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “ভারতীয় সীমান্তের ১৫০ গজ ভিতরে কাঁটা তারের বেড়া। ভারত তার নিজের জায়গা ছেড়ে কাঁটা তারের বেড়া দিচ্ছে। যত জুলুম ভারতীয়দের ওপর। বিএসএফের কী জুলুম আমরা জানি। আমরা যারা সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করি, আমরা জানি। আমাদের পর্যন্তও ছাড়ে না ওরা। গাড়ি আটকে নানা প্রশ্ন করে বিব্রত করে। সাধারণ মানুষও ওপরেও ওদের অত্যাচার বাড়বে।”

এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের অলিখিত এজেন্ডা হল ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী সে বিএসএফ হোক, সেনাবাহিনী হোক তাদের কালিমালিপ্ত করা। তাতে আমাদের শত্রু রাষ্ট্রদের সুবিধা হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের যে নেতারা সীমান্তে রাজনীতি করেন তাঁরা গরু পাচারে যুক্ত। গরুগুলো তো প্যারাশুটে চেপে সীমান্তে গিয়ে পড়ে না। পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় সড়কপথ ধরেই পৌঁছয় সীমান্তে। সে সব রাস্তা পুলিশের এক্তিয়ারভূক্ত।”

আরও পড়ুন: Cooch Behar BSF: সিতাই সীমান্তে বিএসএফের গুলি, নিহত ৪ ‘ গরু পাচারকারি’

Next Article