কলকাতা: বাছুরের টিকাকরণ (Vaccine) কর্মসূচি চলাকালীন বিরল রোগে আক্রান্ত হলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের পাঁচ কর্মী। রোগের নাম ব্রুসেলোসিস।
চিকিৎসকরা বলছেন, ব্রুসেলোসিস এ দেশে সচরাচর দেখা যায় না। প্রাণীর দেহ থেকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মানব দেহে সংক্রমিত হলে তবেই এই রোগের সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ কোনও প্রাণীর শরীরের ভাইরাসটি থাকলে কোনও ব্যক্তি যদি তার সংস্পর্শে আসে তা হলেই ব্রুসেলোসিস হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হল গাঁটের ব্যাথা, জ্বর। তবে ব্রুসেলোসিস শরীরে দানা বাঁধলে ধীরে ধীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। এমনকী এর জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
সূত্রের খবর, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের পাঁচজন কর্মী এখনও অবধি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আরও চারজনের শরীরেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে বলেও সূত্রের দাবি।
এমনকী ৪০ জনের শরীর থেকে নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ৪০ জন কোনও একটি নির্দিষ্ট জেলার বাসিন্দা নন। নদিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, আলিপুরদুয়ার-কার্যত গোটা রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতরের যাঁরা কর্মী (প্রাণিবন্ধু বা প্রাণিমিত্র) আছেন তাঁদের শরীরে ব্রুসেলোসিসের উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বাছুরের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের জন্য গত ২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতর এক কর্মসূচি নেয়। গরুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় এই সময়। অভিযোগ, প্রাণিবন্ধুরা এই ভ্যাকসিন দিয়েছেন। সেই ইনজেকশন দেওয়ার সময়ই সূচ ফুটে যায় প্রাণিবন্ধুদের হাতে। তার জেরেই এই বিপত্তি বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে প্রাণিবন্ধুদের লম্বা লাইন দেখা যায়। তাঁরা সকলেই জানিয়েছেন, ব্রুসেলোসিসের নানা উপসর্গ রয়েছে তাঁদের শরীরে। তাই নমুনা পরীক্ষা করাতে এসেছেন। এরকমই এক স্বনির্ভর কর্মী বলেন, “আমরা মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ইনসেনটিভ পাই। আমাদের কোনও প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। এক প্রকার জোর করেই আমাদের এই ইনজেকশন দেওয়ানো হয়েছে। এমনকী এই কাজের জন্য যে সামগ্রী দেওয়া হয়েছে তাও খুব নিম্নমানের। ব্রুসেলোসিসে প্রথম আক্রান্ত হন নদিয়ার এক যুবক। এর পর আজ আমরা প্রায় শতাধিক যুবক এসেছি। ৩০ জনের পরীক্ষা করানো হল।”
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই চিকিৎসা চলছে। তবে এই রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হচ্ছে নমুনা পরীক্ষা। কারণ, এই ব্রুসেলোসিস রোগের পরীক্ষার জন্য যে পরিমাণ কিট দরকার তা নেই স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। কারণ, এ রোগ সচরাচর দেখা যায় না।
কিন্তু ২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে যে কর্মসূচি ছিল, তাতে বিপুল সংখ্যক প্রাণিসম্পদ দফতরের অস্থায়ী কর্মী অংশ নেন। ফলে নানান সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। বাড়ছে উদ্বেগও। যদিও এ নিয়ে দফতরের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Indian Railway: বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা! পাথর পড়ে লাইনচ্যুত কান্নুর বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস ট্রেন
কলকাতা: বাছুরের টিকাকরণ (Vaccine) কর্মসূচি চলাকালীন বিরল রোগে আক্রান্ত হলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের পাঁচ কর্মী। রোগের নাম ব্রুসেলোসিস।
চিকিৎসকরা বলছেন, ব্রুসেলোসিস এ দেশে সচরাচর দেখা যায় না। প্রাণীর দেহ থেকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মানব দেহে সংক্রমিত হলে তবেই এই রোগের সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ কোনও প্রাণীর শরীরের ভাইরাসটি থাকলে কোনও ব্যক্তি যদি তার সংস্পর্শে আসে তা হলেই ব্রুসেলোসিস হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হল গাঁটের ব্যাথা, জ্বর। তবে ব্রুসেলোসিস শরীরে দানা বাঁধলে ধীরে ধীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। এমনকী এর জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
সূত্রের খবর, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের পাঁচজন কর্মী এখনও অবধি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আরও চারজনের শরীরেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে বলেও সূত্রের দাবি।
এমনকী ৪০ জনের শরীর থেকে নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ৪০ জন কোনও একটি নির্দিষ্ট জেলার বাসিন্দা নন। নদিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, আলিপুরদুয়ার-কার্যত গোটা রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতরের যাঁরা কর্মী (প্রাণিবন্ধু বা প্রাণিমিত্র) আছেন তাঁদের শরীরে ব্রুসেলোসিসের উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বাছুরের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের জন্য গত ২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দফতর এক কর্মসূচি নেয়। গরুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় এই সময়। অভিযোগ, প্রাণিবন্ধুরা এই ভ্যাকসিন দিয়েছেন। সেই ইনজেকশন দেওয়ার সময়ই সূচ ফুটে যায় প্রাণিবন্ধুদের হাতে। তার জেরেই এই বিপত্তি বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে প্রাণিবন্ধুদের লম্বা লাইন দেখা যায়। তাঁরা সকলেই জানিয়েছেন, ব্রুসেলোসিসের নানা উপসর্গ রয়েছে তাঁদের শরীরে। তাই নমুনা পরীক্ষা করাতে এসেছেন। এরকমই এক স্বনির্ভর কর্মী বলেন, “আমরা মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ইনসেনটিভ পাই। আমাদের কোনও প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। এক প্রকার জোর করেই আমাদের এই ইনজেকশন দেওয়ানো হয়েছে। এমনকী এই কাজের জন্য যে সামগ্রী দেওয়া হয়েছে তাও খুব নিম্নমানের। ব্রুসেলোসিসে প্রথম আক্রান্ত হন নদিয়ার এক যুবক। এর পর আজ আমরা প্রায় শতাধিক যুবক এসেছি। ৩০ জনের পরীক্ষা করানো হল।”
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই চিকিৎসা চলছে। তবে এই রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হচ্ছে নমুনা পরীক্ষা। কারণ, এই ব্রুসেলোসিস রোগের পরীক্ষার জন্য যে পরিমাণ কিট দরকার তা নেই স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। কারণ, এ রোগ সচরাচর দেখা যায় না।
কিন্তু ২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে যে কর্মসূচি ছিল, তাতে বিপুল সংখ্যক প্রাণিসম্পদ দফতরের অস্থায়ী কর্মী অংশ নেন। ফলে নানান সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। বাড়ছে উদ্বেগও। যদিও এ নিয়ে দফতরের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Indian Railway: বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা! পাথর পড়ে লাইনচ্যুত কান্নুর বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস ট্রেন