Ranjit Bag: ‘আদালতের নির্দেশে তদন্ত, তাই কেউ নাক গলাতে পারেনি’, স্মরণ করালেন কমিটির প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগ

সুমন মহাপাত্র | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jul 17, 2023 | 12:55 PM

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এর পরই নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তে ভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।

Ranjit Bag: ‘আদালতের নির্দেশে তদন্ত, তাই কেউ নাক গলাতে পারেনি’, স্মরণ করালেন কমিটির প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগ
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করেছিল বাগ কমিটির রিপোর্ট। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এর পরই নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তে ভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। কিন্তু তাঁদের তদন্তের সময় রাজ্য সরকারের তরফে কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি বলে জানালেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ। রবিবার ভারতসভা হলে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ। সভার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে তাঁর নেতৃত্বাধীন কমিটির তদন্তের বিষয়ে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করেছিল বাগ কমিটি। ‘রুল অব বিজনেস’ মেনে তদন্ত করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। সেই তদন্তের বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বাগ বলেছেন, “আমরা তদন্তে সরকারের সহযোগিতা পেয়েছিলাম। কোনও পদাধিকারী বা দল এ নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। সরকার সব ধরনের লজিস্টিক সাহায্য দিয়েছিল। শিক্ষা সচিবকে যখন ডেকে পাঠিয়েছি, তিনি এসেছেন। যা জিজ্ঞাসা করেছি তিনি জানিয়েছেন। কেন হাই পাওয়ার কমিটি তৈরি করা হয়েছিল তা বিস্তারিত বলে গিয়েছেন তিনি।”

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বাগ আরও জানিয়েছেন, নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি তৈরি নিয়ে কার কতটা এক্তিয়ার ছিল সে বিষয়েও বিস্তারিত তা স্পষ্ট করা ছিল। আদালতের নির্দেশে তদন্ত হওয়ায় কেউ নাক গলাতে পারেননি বলেও দাবি করেছেন তিনি। এই বাগ কমিটির রিপোর্টেও উঠে এসেছিল তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। তার র ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন তিনি। মন্ত্রিত্বও খোয়াতে হয়েছে তাঁকে।

Next Article