কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক বঙ্গ বিজেপি-র। সেই বৈঠকে নির্বাচনের ফল নিয়ে তীব্র সমালোচনা বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্যের ৬০ শতাংশ জায়গায় ভাল ভোট হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কুড়ি হাজার আসন জেতা উচিত ছিল। কিন্তু ফলাফল সন্তোষজনক হয়নি।
রবিবার বিজেপির পর্যালোচনা বৈঠক এক দিকে যেমন ভোটের সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে, তেমনই বিজেপির সামগ্রিক ফল নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, ২০১৮ সালের ফলের নিরিখে এবারের ফল যেখানে যেখানে খারাপ, তা নিয়েও আলোচনা হয় এ দিন। ফলত ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের ঘরকে আরও শক্তিশালী করতে হবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গেরুয়া শিবির সূত্রে এ-ও জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে দলের কর্মীদের একাংশের মধ্যে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে বৈঠকে সে কথা জানান দিলীপ ঘোষ। অপরদিকে, বিজেপি নেতা সুনীল বনসল সংগঠন শক্তিশালী করার পিছনে রাজ্য নেতৃত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে না থেকে রাজ্যের নেতৃত্বকে নজর দিতে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধিতে।
গতকালের বৈঠক শেষে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, পঞ্চায়েত ভোটের পর্যালোচনা এবং তাকে পাথেয় করেই আগামী লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরুকে সামনে রেখে এই বৈঠক হয়েছে।
উল্লেখ্য, লোকসভা হোক বা বিধানসভা নির্বাচন। উত্তরবঙ্গে বরাবর ভাল ফল করেছিল বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটেও সেই রকমই আশা ছিল গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা গেল, প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। দার্জিলিঙের হাতে গোনা কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে তারা। উত্তরবঙ্গের ৬টি জেলা পরিষদই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে। চার জেলা পরিষদে আবার বিজেপি একেবারে শূন্য। অপরদিকে, দক্ষিণবঙ্গেও তেমন আশানুরূপ ফল হয়নি তাদের। এই পরিস্থিতিতে সংগঠন কীভাবে মজবুত করা যায় তা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।