উচ্চ মাধ্যমিকের ফল নিয়ে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না! এবার রিভিউ রেজাল্ট নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
Higher Secondary: আট দফা রিভিউ হয়েছে এ বছর। ২৭ অগস্ট শুক্রবার ছিল কলেজে ভর্তির জন্য আবেদনের শেষ দিন।
কলকাতা: প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের রিভিউয়ের দুই দফার ফল। মোট আট দফায় পর্যালোচনার ফল প্রকাশ করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, রিভিউয়ে যে পড়ুয়ারা বাড়তি নম্বর পেল তা কোন কাজে লাগবে?
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি ঠিকই। তবে এর ফল নিয়ে প্রথম দিন থেকেই বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই বিতর্কের রেশ ধরে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে। নতুন পদাধিকারী হয়েছেন চিরঞ্জিৎ ভট্টাচার্য। তবু বিতর্ক যেন আর পিছুই ছাড়ছে না। পরীক্ষার ফলাফলের রিভিউয়ের ক্ষেত্রেও সংসদের পদক্ষেপে প্রশ্ন উঠল এবার।
আট দফা রিভিউ হয়েছে এ বছর। ২৭ অগস্ট শুক্রবার ছিল কলেজে ভর্তির জন্য আবেদনের শেষ দিন। অথচ এদিনও সংসদ দুই দফার রিভিউয়ের ফল প্রকাশ করে। ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে সপ্তম ও অষ্টম দফার ফল।
১৪ হাজার রিভিউ আবেদন জমা পড়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে। এ নিয়ে মোট আট দফায় রিভিউ-ফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, এই আট দফায় কি সত্যি ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর সমস্যার সমাধান হল?
প্রাক্তন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস দায়িত্ব হাত বদলের সময় বলেছিলেন, রিভিউয়ের ফল চার দফাতেই বের করা হবে। কিন্তু তারপরও আরও অতিরিক্ত চার দফায় ফল প্রকাশ হল। স্বভাবতই এতে খানিকটা বিভ্রান্ত কলেজে যে সমস্ত পড়ুয়ারা ভর্তি হতে চলেছেন।
শুক্রবার কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়ার শেষ দিন হওয়ায় আবেদন প্রক্রিয়া যে শেষ হয়ে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এদিনও দেখা গিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ পর্যালোচনা ফল প্রকাশ করেছে। যাদের নম্বর বাড়ল তারা কী করবে এই বর্ধিত নম্বর নিয়ে? বর্ধিত নম্বরের মার্কশিট নিয়ে কি তবে আবারও ভর্তির জন্য আবেদন করবে তারা, কেউ কেউ সে প্রশ্নও তুলছে।
এবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের শুরু থেকেই বিতর্ক। গত ২২ জুলাই এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়। যেহেতু করোনার কারণে এ বছর পরীক্ষা নেওয়া হয়নি, তাই মূল্যায়ণ পদ্ধতিতেও বেশ কিছু বদল আসে। এ বছর পরীক্ষার যে ফলাফল, তা একাদশের ফাইনাল পরীক্ষার নম্বর, প্র্যাকটিকালের নম্বর ও মাধ্যমিকের নম্বর যোগ করে তৈরি হয় চূড়ান্ত ফল। ফল প্রকাশের পরই দেখা যায় মুর্শিদাবাদের এক ছাত্রী প্রথম হয়েছেন। নাম রুমানা সুলতানা। রুমানার নাম ঘোষণা করতে গিয়ে সেদিন বার বার মহুয়া দাসের মুখে উঠে আসে ‘মুসলিম কন্যা’ শব্দটি। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমন হয় মহুয়া দাসকে পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়। সেখানে নতুন মুখ আনা হয়। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের মূল্যায়ণ পদ্ধতি, পর্যালোচনা পদ্ধতি নিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে। পর্যালোচনার শেষ দিন পর্যন্ত জিইয়ে রইল এই বিতর্ক। আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে কন্যাশ্রী’, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্ম পূরণে মহিলাদের সহযোগিতায় খুলল ‘হেল্প ডেস্ক’