কলকাতা: রায় ঘোষণার আগেই বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়ে দিয়েছেন যে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। তারপরও কিছু বলতে চেয়েছিলেন সঞ্জয়। সোমবার সেই সুযোগ দিয়েছিলেন বিচারক। আর রায় ঘোষণার আগে শেষবার সওয়াল করতে গিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তোলেন সঞ্জয়।
শনিবার সঞ্জয় আদালতে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তাঁর রুদ্রাক্ষের মালা কোথায় গেল?’ এদিনও সেই গলার রুদ্রাক্ষকেই হাতিয়ার করে শাস্তি আটকানোর মরিয়া চেষ্টা করলেন সঞ্জয়। এছাড়াও তিনি দাবি করেন, তাঁকে যা বলা হয়েছে, তাই করেছেন তিনি।
এদিন আদালত কক্ষে এত ভিড় ছিল যে সঞ্জয়ের কথা শুনতে পাচ্ছিলেন না বিচারক। তাই তাঁর হাতে মাইক দেওয়া হয়। মাইক হাতে ফের তিনি দাবি করতে থাকেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সাইন করাচ্ছে, লেখাচ্ছে, যা বলছে করছি।’ সঞ্জয়ের দাবি, বিভিন্ন জায়গায় সই করানো হয়েছে তাঁকে, কোথায় সই করানো হয়েছে, তা নিয়ে তিনি ওয়াকিবহাল নন।
সঞ্জয়ের বাড়িতে কে কে আছে, সেটা জানতে তা এদিন জানতে চান বিচারক। সঞ্জয় জানান, তাঁর মা আছেন বাড়িতে। বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জয় জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর পরিবারের তরফে কেউ যোগাযোগ করেননি।