কলকাতা: সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা চেয়ে সরব গোটা বাংলা, তথা দেশ। শিয়ালদহ আদালতের ফার্স্ট জাজ অনির্বাণ দাসের পেনের খোঁচায় কী সাজা বের হয়, সেটাই দেখার! কিন্তু সোমবারও আদালতে সঞ্জয়কে বাঁচানোর শেষবারের মতো চেষ্টা করলেন তাঁর আইনজীবী। ডেথ পেনাল্টির বিরুদ্ধে তার আইনজীবীর শেষ চেষ্টা।
এদিন আদালতের সওয়াল জবারের সময়ে সিবিআই আরও একবার এই ঘটনাকে বিরলতম বলে উল্লেখ করে। সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বলেন, “আমরা চাই সর্বোচ্চ সাজা। কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর যেভাবে নির্যাতন, বিরল ধর্ষণের উদাহরণ।” সিবিআই-এর বক্তব্য, “সারা ভারতবর্ষে এই ঘটনা আলোরণ ফেলেছে। শীর্ষ আদালতে সিবিআই বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট জমা করেছে। আমরা বিরলতম মনে করছি। যাতে এই সমজের মনে দাগ কাটে। যারা উচ্চ শিক্ষায় যাচ্ছেন তাদের বাবা মা ভাববেন কোথায় ছেলে মেয়েকে পাঠাব। তাই সর্বোচ্চ সাজা।”
এরপরই সঞ্জয়ের আইনজীবী বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “শীর্ষ আদালত বলছে কোন কোন ক্ষেত্রে ঘটনা বিরলতম নয়। এক্ষেত্রেও সেটা দেখতে হবে। যেখানে রিফর্ম করার আর জায়গা নেই সেখানে। আদালতকে দেখাতে হবে কেন রিফর্ম হবার সুযোগ নেই।” সঞ্জয়ের আইনজীবীর আবেদন, “বিভিন্ন আদালতে মৃত্যুদন্ড সমালোচিত হয়েছে। বিকল্প শাস্তি দিন, এটাই আবেদন।”
বিচারক তখন বলেন, “হ্যাঁ সেটা দেখেছি। বিভিন্ন কারণ হতে পারে। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।”
শনিবার রায়দানের দিনও সঞ্জয় রাই দাবি করেছিল, সে নির্দোষ। প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিল তার গলার রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে। সাজা ঘোষণার দিনও সঞ্জয়ের হাতিয়ার সেই রুদ্রাক্ষের মালাই। সে বিচারককে প্রশ্ন করে, “এত কিছু নষ্ট হয়েছে বলে শুনেছি। রুদ্রাক্ষের মালা কি নষ্ট হত না?” এখনও আদালতে সব পক্ষই কথা বলছেন।