কলকাতা: রায় ঘোষণার আগে নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল সঞ্জয় রাইকে। সোমবার এজলাসে বসার পর সঞ্জয়কে ডেকে বিচারক জানতে চান, তাঁর কী বলার আছে। এদিনও সঞ্জয় শুরুতেই দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। কী সাজা হতে পারে, সেটা বিচারক আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়ার পরও সঞ্জয় দাবি করেন, তাঁকে দিয়ে অনেক কিছু লেখানো হয়েছে, সইও করানো হয়েছে।
ঠিক কী কথোপকথন হল এদিন?
বিচারক: সঞ্জয় রাই, আপনাকে কাল বলেছিলাম যে চার্জ আনা হয়েছে, সেই ধর্ষণ ও মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত। ৬৪ ধারা অনুযায়ী শাস্তি হল, আজীবন কারাবাস। মৃত্যুর জন্য ফাঁসি হতে পারে। এই শাস্তির বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য?
সঞ্জয়: মাইক নিয়ে বলল, ‘আমি করিনি। রেপ আর মার্ডার পুলিশ সব দেখেছে। এত কিছু নষ্ট হয়েছে বলে শুনেছি। রুদ্রাক্ষের মালা কি নষ্ট হত না? সাইন করাচ্ছে, লেখাচ্ছে, যা বলছে করছি। বেহালায় নিয়ে না গিয়ে কমান্ডে মেডিক্যাল টেস্ট কেন? আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
বিচারক: কিন্তু আপনাকে তিন ঘণ্টা সময় দিয়েছি। যা প্রমাণ এসেছে, তাতে কী হয়েছে, আপনার থেকে ভাল আর কেউ জানে না। যা এসেছে এরপর আমরা আর কিছু করতে পারি না। যেটা মনে হয়েছে, সেটা সঠিক।
সঞ্জয়: আজ শুধু শাস্তি কী জানতে চাই।
বিচারক: বাড়িতে কে কে আছে?
সঞ্জয়: মা।
বিচারক: বাড়ির কেউ যোগাযোগ করেছে আপনার সঙ্গে?
সঞ্জয়: না কেউ করেনি।
বিচারক: আর কিছু জানাতে চান?
সঞ্জয়: না, আমায় দোষী করা হয়েছে স্যার।
কথা শেষ করে, কাঠগড়ায় মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন সঞ্জয়। এরপর সিবিআই বলে এটা বিরলতম ঘটনা। সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, ‘আমরা চাই সর্বোচ্চ সাজা। ডিউটিরত চিকিৎসকের উপর এভাবে নির্যাতন বিরল ধর্ষণের উদাহরণ।’