আরজি কর মামলা: সাড়ে ৪টে বাজে, আইনজীবী তখনও রাস্তায়! ক্ষুব্ধ বিচারক বললেন ‘বেল দিয়ে দেব?’
RG Kar Case: আরজি করে গত ৯ অগস্ট উদ্ধার হয় চেস্ট মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসকের দেহ। ঘটনায় খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় এক ব্যক্তিকে। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে আছেন তিনি।
কলকাতা: আরজি কর মামলায় বিচার চেয়ে উত্তাল গোটা দেশ। প্রায় প্রতিদিন রাজ্যে চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। সেই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। পামেলা গুপ্তা। শুনানি শুরু হয়ে যাওয়ার পরও এদিন দেখা মেলেনি সিবিআই-এর আইনজীবীর। এরপরই তদন্তকারী সংস্থাকে রীতিমতো ধমক দেন তিনি। এদিন একাধিক যুক্তি পেশ করে, ধৃতের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী কবিতা সরকার।
ধৃতের আইনজীবী কবিতা সরকার এদিন আদালতে দাবি করেছেন, ধৃত ব্যক্তি এই ঘটনায় যুক্ত নয়। উচ্চ আদালতেও ওই অভিযুক্তের কোনও জামিন মামলা আটকে নেই। এছাড়া তিনি কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা, কোনও বহিরাগত নন। এই যুক্তিতে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। আপাতত রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে এদিনের শুনানিতে সিবিআই-এর ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।
এদিন আইনজীবী কবিতা সরকার ধৃতের জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, ”তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। তাই জামিন চাইছি।” বিচারক তখন জানতে চান, “সিবিআই-এর তরফে কে আছেন?” সেই সময় সিবিআই-এর সহকারী তদন্তকারী অফিসার উঠে দাঁড়ান। বিচারক জানতে চান, “সিবিআই-এর সরকারি আইনজীবী কোথায়?”
তখন ওই মহিলা অফিসার আদালত কক্ষের বাইরে গিয়ে ফোন করেন। ফের আদালত কক্ষে ঢুকে জানান, আইনজীবী রাস্তায় আছেন। বিচারক তখন অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিচারক বলেন, “এটা সিবিআই-এর তরফে চরম গাফিলতি।” বিচারক পামেলা গুপ্তা এদিন মন্তব্য করেন, “বিকেল সাড়ে ৪টে বাজে এখনও সরকারি আইনজীবী রাস্তায়! কী করব? বেল দিয়ে দেব? ইট ইজ ভেরি আনফরচুনেট (এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক)।”
আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করার কিছুক্ষণ পর শিয়ালদহ আদালতে পৌঁছন সিবিআই-এর লিগাল সেলের আইনজীবী। তিনি পৌঁছে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। অর্থাৎ আপাতত জেল হেফাজতেই থাকবে ধৃত ব্যক্তি।