Sandip Ghosh: মাঝ রাস্তা থেকেই সন্দীপ ঘোষকে পাকড়াও সিবিআইয়ের

Sandip Ghosh: সন্দীপ ঘোষের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিবিআইয়ের কাছে। সিবিআই তাঁকে ডেকেছিল বলে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন সন্দীপের আইনজীবী। ডাকলেও সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দেননি সন্দীপ। তাই তাঁকে মাঝপথে ধরে সিবিআই।

Sandip Ghosh: মাঝ রাস্তা থেকেই সন্দীপ ঘোষকে পাকড়াও সিবিআইয়ের
সন্দীপ ঘোষImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2024 | 3:34 PM

কলকাতা: মাঝ রাস্তা থেকে সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে তুলে নিয়ে গেল শুক্রবার। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে শুক্রবার রাস্তা থেকে ধরে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের যে মামলা, তাতে সন্দীপ ঘোষের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিবিআইয়ের কাছে। সিবিআই তাঁকে ডেকেছিল বলে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন সন্দীপের আইনজীবী। ডাকলেও সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দেননি তিনি। এবার তাঁকে রাস্তা থেকেই তুলে নিয়ে যায় সিবিআই।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

এই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ গত কয়েক বছরে উঠেছে। একাধিকবার আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেও কোনও এক অদৃশ্য কারণে তাঁকে পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে আরজি করে যা ঘটে, তার পর আর পদ বাঁচাতে পারেননি সন্দীপ। যদিও এরপর ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ করেছিল স্বাস্থ্যভবন। তবে হাইকোর্টের গুঁতোয় সে পদে আর বসা হয়নি। ছুটিতে চলে যেতে হয়েছে। আর এবার সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।

সন্দীপ ঘোষ এদিনই হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে বিক্ষোভ চলছে। তাই সিবিআইয়ের সমন পেয়েও হাজিরা দিতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে খবর, এরপরই সিবিআই আধিকারিকরা সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সল্টলেকের একটি জায়গা থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষ এদিন দুপুরে স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক সেখানে ছিলেন বলে খবর। সেখান থেকে ফেরার পথে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই। এর আগে কলকাতা পুলিশ, সিবিআই উভয়ই ডেকেছিল। কারও ডাকেই সাড়া দেননি। উল্টে বলেন, নিরাপত্তার কারণে তিনি যেতে পারেননি। এরপর থেকে সন্দীপের বাড়ির সামনে সাদা উর্দিধারী পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। এবার সিবিআই তাঁকে নিয়ে গেল।

প্রশ্ন উঠছে, এভাবে মাঝরাস্তা থেকে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে যাওয়া হল কেন? তাহলে কি সিবিআই কোনওভাবে মনে করছে, এই মামলায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বয়ান তাৎপর্যপূর্ণ? তাই তিনি আসতে না পারলে তাঁকে নিয়ে আসতে হবে? প্রশ্ন অনেক, আর উত্তর ধীরে ধীরে সামনে আসবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।