RG Kar: শুধু আর্থিক দুর্নীতিই নয়, এবার তিলোত্তমার ‘ধর্ষণ-খুন’ কাণ্ডেও চাপ বাড়ল সন্দীপের!

Sourav Dutta | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 05, 2024 | 4:42 PM

RG Kar: টিভি ৯ বাংলার কাছে যে নির্দেশনামা এসেছে তার শেষ প্যারায় দেখা যাচ্ছে সন্দীপ ঘোষ পূর্ত বিভাগের সিভিল ও ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, 'স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা তাঁদের উপস্থিতিতে বিষয়টি ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।'

RG Kar: শুধু আর্থিক দুর্নীতিই নয়, এবার তিলোত্তমার ধর্ষণ-খুন কাণ্ডেও চাপ বাড়ল সন্দীপের!
সন্দীপ ঘোষ।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। তবে, জুনিয়র ডাক্তাররা বারবার বলছিলেন, ‘আমাদের বোনটা কিন্তু ন্যায় বিচার পায়নি।’ অর্থাৎ তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার নজর ঘোরানো যাবে না। বারবার প্রশ্ন উঠছিল, এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়র ছাড়াও কি আরও কেউ জড়িত? কেন ঘটনার পরপরই সেমিনার হল চত্বর সংস্কারের জন্য ভাঙচুর করা হয়েছিল? কারণ, এই সেমিনার হল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল তিলোত্তমার দেহ। তাহলে কি তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হচ্ছিল কোনও ভাবে? এই আবহেই TV9 বাংলার হাতে এসেছে বিস্ফোরক নথি। যেখান থেকে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই সেমিনার হল চত্বর সংস্কারের জন্য ভাঙচুর করা হয়েছিল। এরপরই ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন, তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের জন্যই কি তড়িঘড়ি এই সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সন্দীপ? এ দিকে, আবার স্বাস্থ্য ভবন দায় সেমিনার হল সংস্কারের দায় চাপিয়েছে সন্দীপের উপরই। তাদের দাবি, সার্বিক ভাবে এই সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিল তারা।

TV9 বাংলা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে সেই বিস্ফোরক নথি। সেমিনার রুম চত্বর ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আর খবর সম্প্রচারের ঠিক পরই স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা ব্যাখা দিলেন। ঘটনার দায় সন্দীপের ঘাড়েই চাপাল স্বাস্থ্য ভবন।

টিভি ৯ বাংলার কাছে যে নির্দেশনামা এসেছে। নির্দেশনামায় উল্লেখ করা রয়েছে, ১০ অগাস্ট প্ল্যাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ে যে বৈঠক হয়েছিল, তার শেষ অনুচ্ছেদে দেখা যাচ্ছে সন্দীপ ঘোষ পূর্ত বিভাগের সিভিল ও ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েকের উপস্থিতিতে বিষয়টি ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। অতএব আপনারা দ্রুত কাজ শুরু করুন। আপনাদের চিন্তার কারণ নেই।’ আর সেই নির্দেশিকায় স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার নাম উল্লেখ থাকায় নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য ভবন।

তাদের বক্তব্য, সেই বৈঠকে সার্বিক সংস্কারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। অর্থাৎ অর্থোপেডিক, ট্রমা কেয়ার, মেডিসিন, চেস্ট মেডিসিন, নেফ্রোলজি-সহ যে সকল বিভাগ রয়েছে সেখানকার চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম, শৌচালয় নিয়ে কথা হয়েছিল। তবে সেই সমস্ত কথার সূত্র ধরে পরের দিনই পৃথক কমিটি গঠন করেন সন্দীপ ঘোষ। স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষ কর্তার মত এমনটাই। এরপর সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই সেই কমিটিই সিদ্ধান্ত নেয় চেস্ট মেডিসিনের কী কী ভাঙতে হবে। কী ভাবে ভাঙতে হবে। তবে স্বাস্থ্য দায় এড়ালেও থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। সার্বিকভাবে সব বিভাগের সংস্কারের কথা বললেও চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সংস্কারের অনুমতি কীভাবে দিল তারা? কারণ, এই বিভাগের সেমিনার হল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ।

আন্দোলনকারী চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন,”ঘটনাটি ঘটার পর থেকে ধামাচাপা দেওয়ার যে চেষ্টা, তথ্য প্রমাণ লোপাটের যে চেষ্টা, সন্দীপ ঘোষ-সহ পুরো সিন্ডিকেট। যারা সাস্থ্য ব্যবস্থায় রাজ চালিয়ে আসছিলেন, যে নামগুলো সামনে আসছে, তাঁরা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত। আমরা প্রথম থেকে দাবি করেছিলাম, কলেজ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

 

Next Article