AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

RG Kar Victim Parents: ‘কেউ কথা বলে না, দোকানদাররা কোনও কিছু বিক্রির আগে দশবার ভাবে…’, পাড়ায় ‘একঘরে’ তিলোত্তমার মা-বাবা

RG Kar Victim Parents: কলকাতা এক বছর পরেও যে সাক্ষী থাকল একটা বড় উত্তালতার। মানুষ আবার নামল পথে। জাগল রাত। কিন্তু সেই মানুষই আবার কীভাবে তিলোত্তমারই পরিবারকে 'একঘরে' করল?

RG Kar Victim Parents: 'কেউ কথা বলে না, দোকানদাররা কোনও কিছু বিক্রির আগে দশবার ভাবে...', পাড়ায় 'একঘরে' তিলোত্তমার মা-বাবা
তিলোত্তমার বাবাImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2025 | 9:11 PM
Share

কলকাতা: নির্যাতিতা বা তাঁর বাবা-মাকে ‘বয়কট’, ভূ-ভারতের বুকে এই অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছে মূলত প্রান্তিক এলাকায়। কেউ কেউ বলেছেন, মানুষ তাদের একঘরে করে দেয়। কিন্তু এই আলোচ্য অভিযোগগুলি অনেকটাই পুরনো। এর নজির যে আজও দেখা যাবে, সেটাই আসলে অকল্পনীয়।

তবে দেখা গিয়েছে। শনিবার সকাল। নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার আগে তিলোত্তমার বাবার মুখে শোনা গেল সেই ‘বর্বরতার’ কথাই। মানুষ তাদের ‘একঘরে’ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমাদের আশ-পাশের মানুষরা রাস্তায় দেখা হলেও ঠিক ভাবে কথা বলেন না। বাজারে দোকানদাররা কোনও কিছু বিক্রি করতে গেলেও দশবার চিন্তা করে। একঘরে করে দিয়েছে। আগেকার দিনে যেমন ছিল ঠিক তেমন। কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত রাখে না।”

নাজিম হিকমতের একটি কবিতা অনুবাদ করে কবি সুভাষ মুখোপাধ্য়ায় লিখেছিলেন, “বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর”। তবে আরজি কর আন্দোলন, সেই ক্ষেত্রে এই কথা হয়তো খাটেনি। কারণ, কলকাতা এক বছর পরেও যে সাক্ষী থাকল একটা বড় উত্তালতার। মানুষ আবার নামল পথে। জাগল রাত। কিন্তু সেই মানুষই আবার কীভাবে তিলোত্তমারই পরিবারকে ‘একঘরে’ করল?

নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের আঙুল একেবারে রাজ্যের শাসক শিবিরের দিকে। তাঁর কথায়, “এই পরিস্থিতি তৃণমূল তৈরি করেছে। পাড়া-প্রতিবেশীরা কেউ যোগাযোগ রাখে না। তাদের সবাইকে ভয় দেখানো হয়েছে।” শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ থেমে থাকেনি। শনিবার নবান্ন অভিযান থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ করেন তিলোত্তমার মা। যদিও ওই অভিযানের মাঝেই অসুস্থ পড়েন তিনি। ভর্তি করা হয় বেসরকারি হাসপাতালে।