কলকাতা: শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না। দলের নির্দেশ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বনাম তৃণমূল নেতৃত্বের যে তরজা শুরু হয়েছে তার ইতি টানতে হবে। কেউই প্রকাশ্যে আর এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। কিন্তু এ বিরোধ যেন থামার নাম নিচ্ছে না। এবার শ্রীরামপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে এবার তীব্র বিক্ষোভ শুরু করলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)- এর অনুগামীরা। সাংসদের কুশপুতুল দাহ করলেন তাঁর দলেরই কর্মীরা!
শনিবার কলকাতার ভবানীপুরে একদল তৃণমূল সমর্থক তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের হাতে দেখা যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃত করে পোস্টার। তাতে লেখা ‘ধিক্কার’। কোনওটাতে আবার লেখা, ‘মাতাল তোকে জানতে হবে আগামীকে মানতে হবে’। রাস্তায় পোড়ানো হয় কল্যাণের কুশপুতুলও। আবার তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন যে তাঁরা সবাই মদন মিত্রের অনুগামী। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের শুরু হল রাজনৈতিক চাপানউতোর।
অভিষেক প্রসঙ্গে কল্যাণের মন্তব্যে দ্বৈরথ কার্যত চরমে উঠেছিল। পরে অবশ্য দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ্যে এই ধরনের কাদা ছোঁড়াছুড়ি বন্ধের নির্দেশ দেন। তবে এতে বাড়তি মাত্রা যোগ করে বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে মদন তীব্র ভাষায় নাম না করে কল্যাণকে বিঁধে বলেন, “কয়েকজন বুড়ো রাতারাতি খুব জ্ঞান দিচ্ছেন। মার খাওয়ার সময় তো এঁরা ছিলেন না কখনও। তৃণমূল পার্টির মাথায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই অভিষেক রয়েছেন। আমি অভিষেকের পাশেই দাঁড়াব।”
তিনি আরও যোগ করেছিলেন, “অভিষেক ফালতু কথা বলেননি। ও নিজের এলাকায় কোভিড মডেল তৈরি করতে চেয়েছে। করে দেখিয়েছে”। তিনি এও বলেন, “এই পার্টির নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর এই পার্টিতে থেকেই কেউ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জিন টেস্ট করে, মদন মিত্র তা বরদাস্ত করবে না”।
অর্থাৎ, নাম না করে একদিকে দলের ‘ইমানদার’ সৈনিক মদন যেমন কল্যাণকে বিঁধেছেন, তেমনি মমতা ও অভিষেক সম্পর্কেও নিজের বিশ্বস্ততার পরীক্ষা দিলেন মদন বলে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু এই গোটা ঘটনার ইতি টেনে টুইট করেছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে শনিবারের বারবেলায় কল্যাণের বিরুদ্ধে মদন অনুগামীদের বিক্ষোভ প্রমাণ করল এই দ্বৈরথ শেষ হয়েও হচ্ছে না। এদিকে এদিনই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “দলের কেউ কল্যাণ ব্যানার্জির কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে বলে আমার কাছে খবর নেই”। এখন দেখার এই পুরো বিষয়ে কল্যাণ আবার পাল্টা প্রত্যুত্তর দেন কিনা।
আরও পড়ুন: Covid Restriction: মেলাতে আপত্তি নেই রাজ্যের, বাকি বিধিনিষেধ বাড়ল ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত
আরও পড়ুন: Crime: ‘সেক্স টয়’ কিনতে চেয়েছিলেন জলপাইগুড়ির শিক্ষক, ৩৭ লাখ টাকা খরচ করার পর জানলেন…