মথুরা: একটি দল ‘বাম’, অপর সংগঠনকে ‘দক্ষিণ’ বা ডানপন্থী বলে পরিচিত। বুদ্ধবাবুকে শ্রদ্ধা জানাতে বিভেদ রইল না সেই ডান-বামের। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএসের সভায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও প্রয়াত বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিকে। শুক্রবার ও শনিবার দু’দিনের বিশেষ বার্ষিক বৈঠকের আয়োজন করেছে আরএসএস। উত্তর প্রদেশের মথুরায় সেই সভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই সভার শুরুতেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়েছে দুই প্রয়াত বাম নেতাকে।
আজ, শুক্রবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে এই বৈঠকের সূচনা হয়। সাম্প্রতিককালে প্রয়াত হয়েছেন এমন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানানো হয় এদিন। সেই তালিকায় ছিল শিল্পপতি রতন টাটা, রামোজি ফিল্ম সিটির প্রতিষ্ঠাতা রামোজি রাও, বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর নাম। সেই সময়ই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সদ্য প্রয়াত বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, আর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন বাম শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আদর্শ ও ভাবধারায় সিপিএম তথা বামপন্থী দলের সঙ্গে কোনও মিলই নেই দক্ষিণপন্থী সংগঠন আরএসএস-এর। তারপরও দুই প্রয়াত বাম নেতাকে আরএসএস-এর বার্ষিক সভায় শ্রদ্ধা জানানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান দাবি করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বামফ্রন্টকে সরাতে এবং কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল তৈরি করতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল আরএসএস-এর।
শুধু তাই নয়, গত বছর আলিমুদ্দিনের একটি বৈঠকেও উঠে আসে আরএসএস প্রসঙ্গ। আরএসএস-এর সংগঠন বাড়ছে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে নজরদারির জন্য একটি দল গঠন করার কথাও বলেছিল সিপিএম।
এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা সম্পূর্ণভাবে ওদের ব্যাপার। ওদের কাছে কমিউনিস্টরা শত্রুপক্ষ। ওঁরা কেন এটা করলেন, সেটা ওঁরাই বলতে পারবেন। তবে সীতারাম ইয়েচুরি বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা জাতীয় নেতা। আরএসএস সেই ভাবে ভাবছে কি না জানা নেই।”