কলকাতা : কয়লা-কাণ্ডে একাধিকবার তলব করা হয়েছে রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। দিল্লিতে তলব করা হলেও বারবারই হাজিরা এড়িয়েছেন সাংসদ-পত্নী। তবে পরে আদালতের নির্দেশে কলকাতাতেই রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলা হয়েছে। সেই মত বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন রুজিরা। এ দিন সকাল থেকে সিজিও কমপ্লেক্স কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে। সকাল ১১ টার কিছু পরে সন্তানকে কোলে নিয়ে ইডি দফতরে প্রবেশ করলেন রুজিরা। সন্তানকে রেখে দিল্লি গিয়ে হাজিরা দিতে পারবেন না, এ কথা বারবারই জানিয়েছিলেন তিনি। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে রুজিরার সঙ্গে কথা বলেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
কয়লা পাচারকাণ্ডে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তদন্তে দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে রুজিরা ও তাঁর বোন মেনকা গম্ভীরের যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই কারণেই লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য জানতে তলব করা হয়েছে রুজিরাকে। কয়েকদিন আগে সাংসদের কালীঘাটের বাড়ি শান্তিনিকেতনে পৌঁছে গিয়েছিল সিবিআইয়ের দল। সে দিন বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে।
দিল্লিতে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি টিম তৈরি করা হয়েছিল। ইডি-র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা রয়েছেন সেই টিমে। এর আগে ওই টিমের সদস্যরাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এবার সেই দলই এসে পৌঁছেছে কলকাতায়।
এ দিন সকাল থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। চারপাশে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। দফতরের কর্মীদেরও আই কার্ড দেখে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সেই মত নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। বেলা ১২ টায় আসার কথা থাকলেও, তার আগেই আসতে দেখা গেল রুজিরাকে। এর আগে গত বছর যখন অভিষেকের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েছিলেন, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই অভিষেক-কন্যা আজানিয়াকে নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন।
এর আগে দিল্লিতে রুজিরাকে তলব করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন করোনা পরিস্থিতিতে দুই সন্তানকে রেখে দিল্লি যেতে পারবেন না। কলকাতায় যাতে তাঁকে তলব করা হয়, সেই আর্জি জানিয়ে মামলাও হয়েছিল। তবে এই একই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ইডি দফতরে পরপর দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।