কলকাতা: ২০১৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন বেশ কিছুদিন। রাজনীতির ময়দানে রীতিমতো সক্রিয় তিনি। বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে তাঁর গলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর শোনা গেলেও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রূপা। তিনি মনে করেন, বিজেপি সরকার গঠন করলেও, বিরোধীদের কন্ঠস্বর যেন রুদ্ধ না হয়। বিরোধী দলের প্রার্থী হলেও তিনি চান, ভাল মানুষেরা যেন ভোট পান।
TV9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রূপা বলেন, “তৃণমূলের যাঁরা ভাল নেতা আছেন, স্বচ্ছ নেতা আছেন, যাঁদের টিভিতে দেখা যায় না, সেই সব মানুষদের চিনে ২০২৬-এর নির্বাচনে ভোট দেবেন। বিজেপি ভাল প্রার্থী না দিলে ভোট দেবেন না। বামপন্থীদের মধ্যে ভাল প্রার্থী থাকলে, তাকেও জেতানোর দায়িত্ব নিন।”
তৃণমূলের অমিত মিত্র ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অমিত মিত্র কত ভাল লোক। শোভনবাবু কত ভাল লোক, ওঁকে খড়দহ পাঠিয়ে দিয়েছে। ভাল লোকদের সবাই ভুলে যাচ্ছে।” বিধানসভায় বামেদের শূন্য হয়ে যাওয়া বা অধীর চৌধুরীর মতো কংগ্রেস নেতার হার পছন্দ নয় রূপার। তিনি বলেন, “এটা গণতন্ত্রের জন্য খুব খারাপ।”
২০২৬-এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, এই আশা রেখে রূপা বলেন, বিজেপি সরকার চালাবে। তবে ২০ জন ভাল বিধায়ক না থাকলে, বিরোধী কন্ঠস্বর কী করে থাকবে। সুস্থ গণতন্ত্র কী করে চলবে। তাঁর মতে, এভাবে বিরোধী কন্ঠস্বর রুদ্ধ করে দেওয়া হয় কেবলমাত্র বাংলাতেই। এমনকী বিরোধী দলের সাংসদ বলে তাঁর এমপি ল্যাডের টাকা খরচ করতে দেওয়া হয়নি, এমন অভিযোগও করেছেন রূপা।