কলকাতা : গত বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের দাবি অনুযায়ী ২০০ পার করতে পারেনি বিজেপি। তবে অনেকগুলো আসনই নিজেদের নামে লিখিয়েছিল বিজেপি। তবে ২০০ পার না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্য়ারিশমার কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্বরা। হাওয়া বিজেপির দিকে ভেবে একে একে দল ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন যেসব নেতারা তাঁদের আবার ঘাসফুলে ফেরত যাওয়াক হিরিক ওঠে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আশানুরূপ ফল না করার পরই মুকুল রায় ফুল বদল করেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পর পরই সব্যসাচী দত্তেরও তৃণমূলে ফিরে যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
এইবার টিভি৯ বাংলা কথাবার্তা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে জানালেন তাঁর তৃণমূল ‘পরিবারে’ পুনরায় যোগ দেওয়ার গল্প। খবরের শিরোনামে দেখা গিয়েছিল বিধানসভায় পুনরায় তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন একদা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তিনি জানান যে, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দিনটি একেবারে কাকতালীয় ছিল। সেদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য় নিয়েই কোনওভাবে বিধানসভায় উপস্থিত হননি। বিধানসভায় কোনও তৃণমূলের পতাকাও ছিল না। হাইকোর্টের সামনে থেকে তৃণমূলের পতাকা খুলে আনা হয়েছিল। টিভি৯ কে এরকমই জানালেন সব্য়সাচী দত্ত। তিনি বলছেন, “আমি বিধানসভায় গিয়েছিলাম পেনশনের কাগজ জমা দিতে। আর সেদিনই যে মমতা দির শপথ (গ্রহণ), আমি জানতাম না।”
তাঁর তৃণমূলের পুনরায় যোগাদানের দিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, “আমি বিধানসভায় ঢুকে পড়েছি। আর কেউ খবর দিয়ে দিয়েছে। সেই সময় মমতা দি প্রেস করছিল। আমি জানি যে আমি দোতলায় যাব। পেনশনের কাজ করব এবং চলে যাব।” তিনি আরও বলেন, “ববি দা হঠাৎ করে ফোন করে বলছেন, ‘কোথায় আছিস রে!’ আমি বললাম বিধানসভায় এসেছি কিছু কাগজ দিতে।” তিনি জানিয়েছেন ববি দা এবং ইন্দ্রনীল দা ইয়ার্কি ও হাসি ঠাট্ট করছিলেন। তারপর হঠাৎ মমতা দি এসে বলেন, “এই ববি সব্যসাচী এসেছে রে! আমি ওকে ডেকেছিলাম।” সব্য়সাচী দত্ত টিভি৯ কে জানিয়েছেন যে, সেদিনই তাঁর পুজোর জামা ট্রায়াল দিত যাওয়ার কথা ছিল। তাই তিনি প্যান্ট, শার্ট, জুতো পরে বেরিয়েছিলেন। তিনি বলছেন, “হঠাৎ করে মমতা দি আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তুই অনেক বিপ্লব করেছিস। পার্থ দা একে জয়েন করাও তো।'” তিনি আরও বলেন, “আমি এরপর আর কোনও কথা বলিনি। কথা বলার সুযোগও পাইনি।”
তৃণমূলে পুনরায় ফিরে আসার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, “আসামী যেমনভাবে নিয়ে যায় ঠিক সেরকমভাবে পার্থ দা সামনে, ববি দা পিছনে আর মাঝখানে আমি।” হাসতে হাসতে তৃণমূলের পতাকা খুঁজে পাওয়ার অন্য ইতিহাস বললেন সব্য়সাচী দত্ত। তিনি জানান যে, পতাকা বিধানসভায় পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তারক্ষীরা বেরিয়ে গিয়ে হাইকোর্টের উল্টোদিক থেকে একটি পতাকা খুঁজে এনেছে। মমতার শপথ গ্রহণ, সেদিনই সব্যসাচী দত্তের বিধানসভায় পেনশনের কাগজ জমা দিতে যাওয়া, এবং রীতিমতো ড্রেসড আপ থাকা- সবটাই যেন এক সূত্রে বাধা পড়েছে সব্যসাচীর তৃণমূলে যোগদানকে ঘিরে। সবটাই কাকতালীয়।
আরও পড়ুন : Sabyasachi Dutta Exclusive Interview : অকপট স্বীকারোক্তি : সুজিতের কাছে কেন হারলেন সব্যসাচী?
কলকাতা : গত বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের দাবি অনুযায়ী ২০০ পার করতে পারেনি বিজেপি। তবে অনেকগুলো আসনই নিজেদের নামে লিখিয়েছিল বিজেপি। তবে ২০০ পার না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্য়ারিশমার কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্বরা। হাওয়া বিজেপির দিকে ভেবে একে একে দল ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন যেসব নেতারা তাঁদের আবার ঘাসফুলে ফেরত যাওয়াক হিরিক ওঠে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আশানুরূপ ফল না করার পরই মুকুল রায় ফুল বদল করেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পর পরই সব্যসাচী দত্তেরও তৃণমূলে ফিরে যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
এইবার টিভি৯ বাংলা কথাবার্তা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে জানালেন তাঁর তৃণমূল ‘পরিবারে’ পুনরায় যোগ দেওয়ার গল্প। খবরের শিরোনামে দেখা গিয়েছিল বিধানসভায় পুনরায় তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন একদা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তিনি জানান যে, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দিনটি একেবারে কাকতালীয় ছিল। সেদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য় নিয়েই কোনওভাবে বিধানসভায় উপস্থিত হননি। বিধানসভায় কোনও তৃণমূলের পতাকাও ছিল না। হাইকোর্টের সামনে থেকে তৃণমূলের পতাকা খুলে আনা হয়েছিল। টিভি৯ কে এরকমই জানালেন সব্য়সাচী দত্ত। তিনি বলছেন, “আমি বিধানসভায় গিয়েছিলাম পেনশনের কাগজ জমা দিতে। আর সেদিনই যে মমতা দির শপথ (গ্রহণ), আমি জানতাম না।”
তাঁর তৃণমূলের পুনরায় যোগাদানের দিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, “আমি বিধানসভায় ঢুকে পড়েছি। আর কেউ খবর দিয়ে দিয়েছে। সেই সময় মমতা দি প্রেস করছিল। আমি জানি যে আমি দোতলায় যাব। পেনশনের কাজ করব এবং চলে যাব।” তিনি আরও বলেন, “ববি দা হঠাৎ করে ফোন করে বলছেন, ‘কোথায় আছিস রে!’ আমি বললাম বিধানসভায় এসেছি কিছু কাগজ দিতে।” তিনি জানিয়েছেন ববি দা এবং ইন্দ্রনীল দা ইয়ার্কি ও হাসি ঠাট্ট করছিলেন। তারপর হঠাৎ মমতা দি এসে বলেন, “এই ববি সব্যসাচী এসেছে রে! আমি ওকে ডেকেছিলাম।” সব্য়সাচী দত্ত টিভি৯ কে জানিয়েছেন যে, সেদিনই তাঁর পুজোর জামা ট্রায়াল দিত যাওয়ার কথা ছিল। তাই তিনি প্যান্ট, শার্ট, জুতো পরে বেরিয়েছিলেন। তিনি বলছেন, “হঠাৎ করে মমতা দি আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তুই অনেক বিপ্লব করেছিস। পার্থ দা একে জয়েন করাও তো।'” তিনি আরও বলেন, “আমি এরপর আর কোনও কথা বলিনি। কথা বলার সুযোগও পাইনি।”
তৃণমূলে পুনরায় ফিরে আসার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, “আসামী যেমনভাবে নিয়ে যায় ঠিক সেরকমভাবে পার্থ দা সামনে, ববি দা পিছনে আর মাঝখানে আমি।” হাসতে হাসতে তৃণমূলের পতাকা খুঁজে পাওয়ার অন্য ইতিহাস বললেন সব্য়সাচী দত্ত। তিনি জানান যে, পতাকা বিধানসভায় পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তারক্ষীরা বেরিয়ে গিয়ে হাইকোর্টের উল্টোদিক থেকে একটি পতাকা খুঁজে এনেছে। মমতার শপথ গ্রহণ, সেদিনই সব্যসাচী দত্তের বিধানসভায় পেনশনের কাগজ জমা দিতে যাওয়া, এবং রীতিমতো ড্রেসড আপ থাকা- সবটাই যেন এক সূত্রে বাধা পড়েছে সব্যসাচীর তৃণমূলে যোগদানকে ঘিরে। সবটাই কাকতালীয়।
আরও পড়ুন : Sabyasachi Dutta Exclusive Interview : অকপট স্বীকারোক্তি : সুজিতের কাছে কেন হারলেন সব্যসাচী?