কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের পর এবার চর্চায় উপ নির্বাচন। মানিকতলায় সাধন পাণ্ডের শূন্যস্থান পূরণ করতে ভোট হবে। ওই কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে জল্পনা ছিলই। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধনের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডের নামেই সিলমোহর দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সাধানের মেয়ে শ্রেয়াকে বেছে নেওয়া হল না কেন? শ্রেয়ার গলাতেও প্রার্থী বাছাই নিয়ে কিছুটা অভিমানের সুর শোনা গিয়েছে। এই আবহেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন।
মানিকতলায় তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে কার্যত শ্রেয়ার পাশেই দাঁড়ালেন তৃণমূল মুখপাত্র। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন সাধন পাণ্ডে মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র একা হাতে সামলেছেন শ্রেয়া। এমনকী করোনার সময়ও শ্রেয়া পাণ্ডে এলাকার মানুষের সঙ্গে থেকেছেন বলে উল্লেখ করেছেন শান্তনু।
তাহলে সুপ্তি কেন টিকিট পাচ্ছেন? শান্তনুর দাবি, অভিজ্ঞতার নিরিখেই সুপ্তির নাম বেছে নিয়েছেন মমতা। শান্তনু বলেন, “তৃণমূলে সবাই মমতাকে নেত্রী হিসেবে মনে করেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেন, তা যে তৃণমূলের ভালর জন্য, সেটাও প্রমাণ হয়ে গিয়েছে একাধিকবার। এরপরই শান্তনু বলেন, কল্যাণ চৌবে হেরে গিয়ে মামলা করা, দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ধরে আটকে ছিল ভোট। কিন্তু এই ২ বছর বিজেপির কোনও নেতা এলাকায় যায়নি। শ্রেয়াই কাজ করেছে।” উল্লেখ্য, নবান্নে বৈঠকের পর সুপ্তিকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। শ্রেয়া পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তাঁর কাজ বোধ হয় উপরমহলে কারও চোখে পড়েনি।