বাবুঘাট: গঙ্গা আরতি (Ganga Arati) নিয়ে পুলিশ বিজেপি (BJP) সংঘাত। বিজেপির গঙ্গা আরতির কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিশের। এদিকে নিজের অবস্থানে অনড় গেরুয়া শিবির। বঙ্গ বিজেপির তরফে মঙ্গলবার বাজা কদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়েছে। সেইখানেই পুলিশ ও গেরুয়া কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গাড়িতে তোলে পুলিশ। আটক করা তাঁকে। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে থাকা গোপাল সরকারকেও আটক করা হয়। তাঁদেরকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য, এই কর্মসূচির কোনও অনুমোদন ছিল না সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে সজল ঘোষ, গোপাল সরকারদের। গোটা বাবুবাঘট চত্বরে এই মুহূর্তে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে এক প্রকার ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। ঘটনাস্থল থেকে টেনে সরানো হয় বিজেপি কর্মীদের। ইতিমধ্যেই মঞ্চ খুলে ফেলা হয়েছে। খুলে ফেলা হয়েছে গেরুয়া পতাকাও। যদিও, সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি কোনও পুলিশ আধিকারিক।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “গঙ্গা আরতি হলে আইন-শৃঙ্খলার কী এমন অবনতি হবে? আজ যা হল তা সংস্কৃতী বিরোধী পদক্ষেপ। এখন যদি গঙ্গা আরতি হয় তাহলে সরকারের কী এমন এল গেল? আমি মনে করি যে ধরনের অগ্রাসীন পদক্ষেপ সরকার করছে তার চরম নিন্দা করছি।”
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বঙ্গ বিজেপির তরফে বহু কর্মী-সমর্থক বাবুঘাটে ভিড় জমাতে শুরু করেন। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলার জন্যও বহু পুণ্যার্থীও ভিড় জমান। এ দিকে, কলকাতায় চলছে জি ২০ বৈঠকও।এইসব কারণের উল্লেখ করে বিজেপির কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। পুলিশের তরফে আবেদন করা হয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হওয়ার পর যেন নতুন করে এই কর্মসূচির জন্য আবেদন করা হয়। তবে বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, আজ গঙ্গা আরতি হবে।বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করছে। আমি যাব সেখানে। এবং গঙ্গা আরতি করব।”