কলকাতা: কোভিড-বিধিনিষেধে ফের ছাড় ঘোষণা নবান্নের। ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে সেলুন ও বিউটি পার্লারগুলি খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। শনিবারই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অর্থাৎ রাত ১০টা অবধি বিউটি পার্লার, সেলুন খোলা রাখা যাবে।
তবে এই ছাড় পেতে গেলে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। এক, ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে সেলুন, পার্লার চালু রাখা যাবে। অর্থাৎ পার্লার কিংবা সেলুনে একসঙ্গে একগাদা লোকের ভিড় কোনওভাবেই করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, যাঁরা সেলুন বা বিউটি পার্লারের কর্মী থাকবেন, তাঁদের সকলের টিকার দুই ডোজ়ই থাকতে হবে। তৃতীয়ত, রাজ্যজুড়ে যে কোভিড প্রোটোকল বহাল রয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে। সেলুন এবং বিউটি পার্লার নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে স্যানিটাইজ করতে হবে। এই সমস্ত বিষয় মেনে বিউটি পার্লার, সেলুন খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল সেখানে বিউটি পার্লার, সেলুন দুই-ই পূর্ণ সময়ের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেক্ষেত্রে কিছুটা নিয়মের পরিবর্তন করল রাজ্য সরকার। কিছুটা ছাড় দেওয়া হল।
১. ১৫ জানুয়ারি অবধি বন্ধ থাকবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ৫০ শতাংশের হাজিরার অনুমতি।
২. সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশের উপস্থিতির অনুমতি। জোর দিতে বলা হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে।
৩. বেসরকারি অফিসেও ৫০ শতাংশের উপস্থিতিতে অনুমতি। এক্ষেত্রেও কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দিতে বলা হয়।
৪. সুইমিং পুল, জিম, স্পা, বিউটি পার্লার, সেলুন বন্ধ থাকবে।
৫. শপিং কমপ্লেক্সে ৫০ শতাংশ ক্রেতায় অনুমতি। খোলা থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
৬. রেস্তোরাঁ, বার খোলা থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত। ৫০ শতাংশ নিয়ে খোলা রাখায় অনুমতি।
৭. প্রেক্ষাগৃহ খোলা রাখা যাবে ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে। রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
৮. মিটিং বা কনফারেন্সে কখনওই একসঙ্গে ২০০ জনকে অনুমতি নয়।
৯. ধর্মীয়, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের অনুমতি।
১০. বিবাহ অনুষ্ঠানেও একসঙ্গে ৫০ জনকে অনুমতি।
১১. শেষকৃত্যে ২০ জনের উপস্থিত থাকার অনুমতি।
১২. রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সবক্ষেত্রেই ‘না’।
প্রসঙ্গত শুক্রবারই রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। শুধুমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার পেরিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ২১৩ জন। কলকাতায় ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৮৪ জন।