Salt Lake Death: মিলল তিনখানা ছুরি, মুখে অ্যাসিডের দাগ, বাথরুমে রক্তাক্ত স্ত্রীকে ফেলে ‘নোটে’ কী লিখেছিলেন বৃদ্ধ চিকিৎসক?
Salt Lake Death: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাইনিং টেবিলে পড়েছিল একটি রক্তমাখা ছুরি, টেবিলের নীচে ছিল আর একটা। আর তৃতীয় ছুরি পাওয়া যায় বৃদ্ধের পায়ের কাছ থেকে। টেবিলের ওপর ছিল সুইসাইড নোট। তাতে প্রথমে চার লাইন বাংলায় লেখা। তারপর লেখা আরও কিছু কথা।
কলকাতা: সাত সকালে বাড়ির দোতলায় উঠেই চমকে যান পরিচারিকা। দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন রীতিমতো। ডাইনিং রুংমের চেয়ারে পড়ে বাড়ির বৃদ্ধ কর্তা, শৌচাগারে বৃদ্ধার দেহ। সল্টলেকের বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কী হয়েছিল জি সি ব্লকের ৩০ নম্বর ওই বাড়ির দোতলায়? কেন এভাবে মৃত্যু হল বৃদ্ধার? একটি নোট থেকে অবশ্য পাওয়া যাচ্ছে বেশ কিছু উত্তর। মনে করা হচ্ছে, যা ঘটেছে, তা সকাল ৬ টা থেকে ৮ টার মধ্যেই ঘটেছে। কারণ পরিচারিকা যখন দেখেন, তখনও তাজা রক্ত বেরচ্ছিল দুজনের শরীর থেকেই। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধ।
প্রতিদিন সকালে ওই দম্পতি দোতলায় ওঠার দরজা খুলে রাখেন পরিচারিকার জন্য, সেই সঙ্গে দোতলায় ল্যান্ডিং-এ গ্রিলের দরজাও খুলে দেন। বুধবার সকালে সেই খোলা দরজা দিয়ে ওপরে গিয়েই ওই দৃশ্য দেখতে পান পরিচারিকা। পরে তিনি নীচে গিয়ে চেঁচামেচি করলে আবর্জনা তুলতে আসা ব্যক্তি ও পাশের বাড়ির বাসিন্দারা ছুটে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাইনিং টেবিলে পড়েছিল একটি রক্তমাখা ছুরি, টেবিলের নীচে ছিল আর একটা। আর তৃতীয় ছুরি পাওয়া যায় বৃদ্ধের পায়ের কাছ থেকে। টেবিলের ওপর ছিল সুইসাইড নোট। তাতে প্রথমে চার লাইন বাংলায় লেখা। সেখানে বৃদ্ধ লেখেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে, সুইসাইড নোটের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে পারিবারিক বেশ কিছু কথা।
সেই নোট থেকেই জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ সম্প্রতি তাঁর গাড়ি বিক্রি করেছিলেন, কারণ গাড়িটি ব্যবহার হয় না। সেই গাড়ি বিক্রির পর হঠাৎ পুরনো ট্রাফিক ভায়োলেশনের চিঠি আসে। কিন্তু সেই সময় তিনি গাড়ি বিক্রির প্রয়োজনীয় নথি বের করে প্রমাণ করতে পারেননি। এতে তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে তাঁকে ভর্ৎসনা করেন।
আরও জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি নিউটাউনে একটি জমি বিক্রি করে এক কোটি টাকা পান ওই বৃদ্ধ। কিন্তু তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে তাঁকে ফের বকাবকি করেন। কেন তিনি একটু অপেক্ষা করে নতুন অর্থবর্ষে জমি বিক্রি করলেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন স্ত্রী ও মেয়ে। পুলিশের অনুমান, মেয়ে, স্ত্রী-র সঙ্গে অশান্তির জেরেই মানসিকভাবে তিনি আঘাত পেয়েছিলেন, সেখান থেকেই এরকম চরম সিদ্ধান্ত।
দম্পতির দুই মেয়ের একজন সিঙ্গাপুর থাকেন, ছোট মেয়ে থাকেন নিউ টাউনে। পুলিশ ঘর থেকে একটি অ্যাসিডের বোতল পেয়েছে এবং বৃদ্ধের মুখে অ্যাসিডের ক্ষতও পেয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, স্ত্রীকে খুন করে অ্যাসিড খেয়ে নিজের ওপর ছুরি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। প্রতিবেশীদের একজন জানিয়েছেন, গত সন্ধায় দম্পতির মধ্যে কথা কাটাকাটির আওয়াজ পেয়েছিলেন।