‘আমাদের বিয়েটা কল্যাণবাবুই দিয়েছেন’, কাঞ্চনকে দেখে মহিলাদের ‘রিয়্যাক্ট’ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন শ্রীময়ী

Kanchan Mullick: স্বামী কাঞ্চন মল্লিককে জিপ থেকে অসম্মান করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে উত্তাল চারপাশ। হাসপাতালের বেডে স্যালাইনের নল হাতে নিয়ে সবটা দেখেছেন স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। একটু থিতু হয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন শ্রীময়ী। বলেছেন, "গরমে হয়তো কল্যাণবাবুর মাথা কাজ করেনি..."

'আমাদের বিয়েটা কল্যাণবাবুই দিয়েছেন', কাঞ্চনকে দেখে মহিলাদের 'রিয়্যাক্ট' প্রসঙ্গে মুখ খোলেন শ্রীময়ী
যা বললেন শ্রীময়ী!
Follow Us:
| Updated on: Apr 27, 2024 | 1:00 PM

এই গরমে গলদঘর্ম হয়ে সিরিয়াল-সিনেমার শুটিং করছেন শিল্পী এবং কলাকুশলীরা। গরমটা একদম সহ্য হয়নি অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের। ডিহাইড্রেশন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাঁকে। কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন শ্রীময়ী। শরীরে রক্তচাপ কমেছে তাঁর। স্যালাইন দিতে হয়েছে। এখন অনেকটাই ভাল আছেন অভিনেত্রী। শনিবার (২৭ এপ্রিল, ২০২৪), অর্থাৎ আজ, শ্রীময়ীকে বাড়িতে ছাড়া হলেও হতে পারে। সংবাদমাধ্যমের কাছে তেমন কথাই বলেছেন অভিনেত্রীর স্বামী অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। তবে এই অসুস্থতার মধ্যেও উৎকণ্ঠার সম্মুখীন হয়েছেন শ্রীময়ী।

বৃহস্পতিবারের (২৫ এপ্রিল, ২০২৪) ঘটনা সকলেই জানেন। হাসপাতালের বেডে শায়িত শ্রীময়ী। হাতে তাঁর স্যালাইনের নল। শরীরটা খুবই কাহিল। হঠাৎ দেখলেন ভোটের প্রচার ছেড়ে অসময়ে তাঁর কাছে এসে হাজির স্বামী কাঞ্চন। তখনও শ্রীময়ী জানেন না প্রচারে চূড়ান্ত অসম্মানের সম্মুখীন হতে হয়েছে স্বামীকে।

এই দগ্ধ গরমে কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভোট প্রচারে বেরিয়েছিলেন কাঞ্চন। এ যাবৎ, কল্যাণের প্রত্যেকটি প্রচারেই হাজির ছিলেন অভিনেতা-উত্তরপাড়ার বিধায়ক। হুড খোলা গাড়িতে চেপে কাঞ্চন প্রচার করেছেন কল্যাণের জন্য। এ দিন কোন্নগরে জিপ থেকে কাঞ্চনকে নেমে যেতে বলেন কল্যাণ। তাঁকে সপাটে বলে দেন, “তোমাকে আগেও বলেছি প্রচারে আসবে না। তাও তুমি আস। জিপ থেকে নেমে যাও। তোমাকে দেখে মহিলারা রিয়্যাক্ট করছেন।” দলের সিনিয়রের মুখে এই কথা শুনে একবিন্দুও সময় নষ্ট না করে জিপ থেকে নেমে যান কাঞ্চন। প্রচার ছেড়ে সোজা চলে আসেন হাসপাতালে শায়িত স্ত্রী শ্রীময়ীর কাছে। তখনই পুরো বিষয়টা স্বামীর থেকে জানতে পারেন শ্রীময়ী।

এই খবরটিও পড়ুন

হাসপাতালে ছিলেন, তাই কারও ফোনই ধরতে পারেননি শ্রীময়ী। কিন্তু একটু সুস্থ হয়েই সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। শ্রীময়ীর বক্তব্য, “এই কল্যাণদার জন্যই কিন্তু আমার এবং কাঞ্চনের বিয়েটা হয়েছে। তিনি আমাদের পাশে ছিলেন শুরু থেকেই। খুব সাপোর্ট পেয়েছি তাঁর থেকে। তিনি না থাকলে আমাদের বিয়েটাই হত না। আমার মনে হয় পুরোটাই একটা রাজনৈতিক বিষয়। সেই কারণেই হয়তো যা হওয়া হয়েছে। এই গরমে হয়তো তিনিও কাহিল ছিলেন। মাথা কাজ করেনি। তাই হয়তো এমনভাবে রিয়্যাক্ট করে ফেলেছেন।”

আর কাঞ্চনের খারাপ লাগা। তা নিয়ে কী বলেছেন শ্রীময়ী, “যতই যাই হয়ে থাক, কল্যাণবাবুর এই ব্যবহারে আমার স্বামী কাঞ্চন মল্লিক হতাশ হয়েছেন খুব। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর খারাপ লেগেছে।” এই গরমে শ্রীময়ী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। স্বামী সেই গরমেই গ্রামেগঞ্জে প্রচার করছেন। তায় এই ‘অপমান’। কাঞ্চনের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তাও প্রকাশ করেন শ্রীময়ী।