কলকাতা: রাতে মাকে না দেখতে পেয়ে কান্না জুড়েছে একরত্তি শিশু। কারোর কাছেই থাকছে না সে। তাই আর উপায়ন্তর না পেয়ে সেই ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়েই ১৭ তারিখ থেকে অনশন মঞ্চে চাকরিপ্রার্থী বীথিকা নায়েক। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে এসেছেন বীথিকা। ২ বছর ১ মাসের মেয়েকে প্রথমে বাড়িতেই রেখে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু মাকে ছাড়া ওই একরত্তি থাকবে কীভাবে। ১৭ তারিখ থেকে সল্টলেকে এপিসি ভবনের সামনে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা যে ধর্না মঞ্চ করেছেন, তাতে একরত্তিকে কোলে নিয়েই সামিল বীথিকা।
চোখেমুখে ভীষণ রকমের ক্লান্তির ছাপ। একে বাচ্চার ধকল, তার ওপর গলায় স্লোগান। ঠাটাপোড়া রোদে সেই একরত্তিকে সামলে সুর চড়ানো হকের চাকরির দাবিতে। বীথিকা বললেন, “বাড়িতে ওকে রেখে আসা কিছুতেই সম্ভব নয়। ওকে নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ২০১৪ সালের নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থী। ২ বছর ইন্টারভিউ দিয়েও চাকরি জোটেনি। আর কতদিন অপেক্ষা করব?” কথাগুলো যখন ক্যামেরার সামনে বলছিলেন বীথিকা, তখনও তাঁর কোলে শিশু। সেও হাত বাড়িয়েছে বুম ধরতে। না এখনও স্পষ্ট বুলি ফোটেনি তার, কেবলই খেলছে সে। তবে ধকল তো তারও। মায়ের আন্দোলনে ছোট থেকেই পাশে থাকছে সে।
রাত পেরিয়ে ভোর হয়েছে। ঘড়ির কাঁটায় ঘণ্টা পেরোচ্ছে। কিন্তু আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তব পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট করেছেন, দাবি অন্যায্য, তা মানা সম্ভব নয়। তবে সকল আন্দোলনকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।