Calcutta High Court: ‘তার মানে আপনি জানেন উনি কোথায়?’, শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে ভরা এজলাসে মোক্ষম প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

Shrabanti Saha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 28, 2024 | 2:34 PM

Sandeshkhali: প্রধান বিচারপতি তাঁকে পাল্টা  প্রশ্ন করেন, "তার মানে আপনি জানেন উনি কোথায় আছেন?" বিচারপতির আরও তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য, "রাজ্য তার নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে থাকতে পারে না এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে।"

Calcutta High Court: তার মানে আপনি জানেন উনি কোথায়?, শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে ভরা এজলাসে মোক্ষম প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
শেখ শাহজাহান (ফাইল ছবি)
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ইডি, সিবিআই এর শাহজাহানকে গ্রেফতারে বাধা নেই। রাজ্য পুলিস তারাও গ্রেফতার করতে পারে। সন্দেশখালির একটি বিশেষ মামলায় স্পষ্ট করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেশখালি মামলায় বেশ কিছু পরিবর্তন চেয়ে আদালতের দারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায় এই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে নিয়ে বড় নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেয়,  সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে যুক্ত করা হল। শেখ শাহজাহানকে পার্টি করার বিষয়টি ২টি সংবাদপত্রে নোটিস দিয়ে জানায় হাইকোর্ট। শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারিতে আদালতের কোনও স্থগিতাদেশ নেই বলেও  জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্য পুলিশ, সিবিআই, ইডি-কেও মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে এজি বলেন, “নির্দেশে কিছু সংশোনের প্রয়োজন। ওঁকে দুটি মামলায় যুক্ত করতে হবে। অথচ, দুটি এফআইআরে স্থগিতাদেশ আছে। তাই সমস্যা হচ্ছে।”

প্রধান বিচারপতি তাঁকে পাল্টা  প্রশ্ন করেন, “তার মানে আপনি জানেন উনি কোথায় আছেন?” বিচারপতির আরও তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য, “রাজ্য তার নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে থাকতে পারে না এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে।” এজি বলেন, “না, সেটা নয়। এখনও গ্রেফতার ঘোষণা হয়নি।”

প্রধান বিচারপতি ফের স্পষ্ট করে দেন, “শাহজাহানের গ্রেফতারে কোনও বাধা নেই।” তবে ইডি-র তরফ থেকে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়, “ন্যাজট থানা তদন্ত করতে পারবে না। এতে সব প্রমাণ নষ্ট হবে। গ্রেফতার তদন্তের অংশ।”

প্রধান বিচারপতির তরফ থেকে বলা হয়, “আমরা গ্রেফতারের কথা বলেছি। অনেকে বলেছেন হাইকোর্টের সুরক্ষা দিয়েছে। সেটা স্পষ্ট করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফের স্পষ্ট করা হল জেলা পরিষদের সদস্য এভাবে কখনই পালিয়ে বেড়াতে পারে না।”

আদালত বান্ধব জয়ন্ত নারায়ণ বলেন, “বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে। সেগুলি সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলি আদালতে জমা দিতে চাই। মামলাকারীর নাম ভুল ছিল সেটা ঠিক করা হয়েছে।” তখন এ এসজি- এমভি রাজু বলেন, ” রাজ্য যদি গ্রেফতার করে মামলা লখু হয়ে যাবে। তদন্ত যদি সিবিআই করে তাহলে সমস্যা হবে। গ্রেফতার প্রয়োজনীয় কিন্তু ভুল এজেন্সির মাধ্যমে নয়।” ইডি-র তরফে বলা হয়, “একটা দুটো নয়, ৪৩ কেস রয়েছে শাহজাহানের নামে।” তাতে প্রধান বিচারপতি অনুমতি দেন, “সিবিআই-ও গ্রেফতার করতে পারে। সমস্যা নেই।” এই মামলায় এদিন বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ের ঝামেলা হচ্ছে। জনগণের ধারণা তৈরি হচ্ছে। এক জন জন প্রতিনিধি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আদিবাসীদের জমি দখল হচ্ছে।”

Next Article