কলকাতা: সকালেই ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল উত্তম সর্দারকে। রাতেই খবর এল, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। শনিবার সন্দেশখালি থানার পুলিশ উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, উত্তম কি এতদিন পুলিশের নিরাপত্তায় ছিলেন? তৃণমূল সকালে সাসপেন্ড করল বলেই কি এই গ্রেফতারি? কেন এখনও শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা অধরা, সে প্রশ্নও উঠছে। উত্তম সর্দার জেলা পরিষদের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় ২টি অভিযোগ দায়ের হয়।
এদিন রেড রোডে ধরনামঞ্চ থেকে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলগত একটি তদন্তের কথা জানান। তিনজন মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে নিয়ে এই কমিটি তৈরি হয়।
মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী সুজিত বসু ও মন্ত্রী রথীন ঘোষের সঙ্গে কমিটিতে রাখা হয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে। পার্থ জানিয়েছিলেন, কমিটির সদস্যদের বলা হয়েছিল লোকজনের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট জমা দিতে। শনিবারই তা হাতে আসে দলের। এরপরই দল সিদ্ধান্ত নেয় উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করা হবে। সন্দেশখালিতে মিছিলে গোলমালের ঘটনায় উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। বিকাশ সিংহ নামে আরও একজনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল। দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয় শনিবার।