কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এক সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতকে বিচারপর্ব শুরু করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি রেজিস্ট্রার আক্তার আলির দায়ের করা আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য অবশেষে অনুমতি মিলেছে রাজ্যের। মঙ্গলবার আদালতে বিষয়টি জানাল সিবিআই। অন্যদিকে ইডি-র আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা ECIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছেন। মঙ্গলবার হাইকোের্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই।
এদিন এএসজি আদালতকে জানান, সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের খুন ধর্ষণ মামলার সঙ্গেই এই দুর্নীতির মামলা চলছে। গত বছর ২৩ অগস্ট হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি করের দুর্নীতি মামলার তদন্ত হাতে নেয় সিবিআই। পরে সুপ্রিম কোর্ট তাতে শিলমোহর দেয়। গত বছর ২৯ নভেম্বর চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই।
বিচারপতি এদিন জানান, এই মুহূর্তে এই আদালতের এই মামলায় আর কিছু করার নেই। ইডি-র তরফে আইনজীবী জানান, ২২ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হয়েছে। অভিযুক্ত সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে ট্রায়াল শুরুর জন্য কনসেন্ট পেয়েছে সিবিআই। নিম্ন আদালতকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রায়াল শুরু করে যত দ্রুত সম্ভব বিচার শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের।
কিন্তু এদিন ইডি- র ভূমিকায় অসন্তুষ্ট বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতি বলেন, “ইডি চার্জশিটও দেয় না আর বিচারপ্রক্রিয়াও (ট্রায়াল) শুরু করে না।”
প্রসঙ্গত আর.জি কর মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট জমা না দেওয়ায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। ২৯ শে নভেম্বর আলিপুরে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। আগামী ৩০ শে জানুয়ারি আলিপুরে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ইডির বক্তব্য শোনার পরই নিম্ন আদালতকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রায়াল শুরু ক’রে, যত দ্রুত সম্ভব বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।