Sandip Ghosh: ‘সুপ্রিম কোর্ট তো বারণ করেনি জামিন দিতে’, সন্দীপ ঘোষকে পাল্টা বিচারক বললেন…

সুজয় পাল | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 18, 2024 | 8:34 PM

RG Kar: বারবার জামিনের আবেদন করেছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সেই জামিন নাকচ করে আদালত। সোমবার আদালতে কী হল? সওয়াল-জবাব পর্ব বিস্তারিত পড়ুন...

Sandip Ghosh: সুপ্রিম কোর্ট তো বারণ করেনি জামিন দিতে, সন্দীপ ঘোষকে পাল্টা বিচারক বললেন...
সন্দীপ ঘোষকে কী বলল আদালত?
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: জামিন চেয়ে শিয়ালদহ কোর্টে ফের আবেদন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। এর আগেও আবেদন করেছেন তিনি। সেই জামিন নাকচ করে আদালত। সোমবার আদালতে কী হল? সওয়াল-জবাব পর্ব বিস্তারিত পড়ুন…

সিবিআই-এর আইনজীবীর বক্তব্য

পাঁচটি ডিভিআর (DVR) ও পাঁচটি হার্ড ডিস্ক সেন্ট্রাল ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। সেটা নিয়ে জেরা হবে।

সুপ্রিম কোর্টে ছ’টি স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার আগে সন্দীপ ও অভিজিতের কোনও যোগাযোগ ছিল কি না জানা প্রয়োজন। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজে বের করতে এই তথ্য জানা দরকার।

কারও প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা আক্রোশ নেই সিবিআইয়ের। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে যখন প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল, তখন তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তকারীকে সময় দেওয়া হোক। কেস ডায়েরি দেখলে বোঝা যাবে তদন্ত কতটা এগিয়েছে।

অভিযুক্ত অভিজিৎ ও সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য

এখন তো সেই পুরনো রাজা-বাদশাদের জমানা নেই,তাদের মুখের কথায় কাউকে বন্দি করে রাখা হবে। এখন সবকিছু বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে ঠিক হয়। কে দোষী কে দোষী নয় সবটাই বিচার্য বিষয়। তাই আমরা এখানে বিচার চাইতে এসেছি।

৬৫ দিন হয়ে গিয়েছে। কোনও চার্জশিট জমা পড়েনি। এদের বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের চার্জ নেই। শুধু তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগের কথা বলছে। যেহেতু ষাট দিন হয়ে গিয়েছে তাই জামিন পেতেই পারে। এই মামলায় নতুন কোনও ধারাও যোগ করা হয়নি।

সিবিআই-এর দাবি, সুপ্রিম কোর্ট এর মনিটর করছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই শুধু স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট কোনও আদেশ ও নির্দেশ দেয়নি। উচ্চ আদালত জামিন দিতে বারণও করেনি।

আবেদনপত্রে বলা হচ্ছে যদি ‘ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে…।’ মানে হতেও পারে নাও পারে। অনুমানের ভিত্তিতে কি তাদের আটকে রাখা যায়? খুন ও ধর্ষণের মামলা যে এদের বিরুদ্ধে নেই তা একদম প্রথম দিনেই আদালতে বলেছিল সিবিআই। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের প্রমাণ এখনো সিবিআই দেখাতে পারেনি। তাহলে এবার তাদের জামিন দেওয়া হোক।

দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব পর্বের পর বিচারক বলেন, “যদি তথ্য প্রমান লোপাটের জন্য আলাদা কোনও মামলা হত, তাহলে সাত দিন পেরিয়ে গিয়েছে তারা জামিন পেতেই পারত। কিন্তু মূল মামলার সঙ্গে তাদের যুক্ত করা হয়েছে। সেজন্য এই মামলায় জামিন নিতে গেলে উচ্চ আদালতে যেতে হবে।

 

 

Next Article