Santoshpur: উল্টো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শকের পর নিগৃহীত নাবালক গেল কোথায়? ধৃতদের বয়ানে অসঙ্গতি, সন্তোষপুরের আঁচ পৌঁছল ইসলামপুরে
Santoshpur: শুক্রবার অর্থাৎ ঘটনার দিন কারখানায় ধৃত দু'জন মোস্তাফা কামাল ও তৌহিদ আলম ছাড়াও আরও অনেকে উপস্থিত ছিল বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। কারখানার মালিক শাহেনশাহ-সহ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কলকাতা: মোবাইল চুরির অপবাদে এক নাবালককে উল্টো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শক! সন্তোষপুরের একটি কারখানার এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই উত্তেজনা। (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা) সন্তোষপুরের উত্তেজনার আঁচ এবার ইসলামপুরেও। কারণ নিগৃহীত নাবালক আদতে ইসলামপুরের বাসিন্দা। পরিবার তার খোঁজ পাচ্ছে না। খোঁজ মিলছে না ওই কারখানার মালিক শাহেনশাহরও। নির্যাতনের ভিডিয়ো সামনে আসার পর মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বুধবার রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশের একটা টিম ইসলামপুরের উদ্যেশ্যে রওনা হয়েছে।
শুক্রবার অর্থাৎ ঘটনার দিন কারখানায় ধৃত দু’জন মোস্তাফা কামাল ও তৌহিদ আলম ছাড়াও আরও অনেকে উপস্থিত ছিল বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। কারখানার মালিক শাহেনশাহ-সহ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিগৃহীত নিখোঁজ নাবালকের দাদা (যিনি এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী), তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃতরা ঘটনার সময়ে ওই কারখানাতেই উপস্থিত ছিল। এদিকে, ধৃত ২ জনের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি আছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। দু’জনকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাতে চলেছে পুলিশ।
মারধরের ঘটনার পর নাবালকে কোথায় গেলো সেবিষয়ে ধৃতদের দুজন ভিন্ন বয়ান দিচ্ছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের মধ্যে একজন দাবি করেছে মারধরের পর নাবালক কারখানা থেকে পালিয়ে গিয়েছে। ধৃত অপর একজন দাবি করেছে, মারধরের পর অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই লোকেশন নির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছে না বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

