কলকাতা: রুমেল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের মানুষের সাহায্যে ব্যস্ত। তাই কয়লাপাচার মামলায় হাজিরা দিতে পারছেন না। আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি সিবিআই-কে জানালেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। সূত্রের খবর, শওকত মোল্লা চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের সহ সভাপতি। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য কাজ করার ব্যস্ততার জন্যই হাজিরা দিতে পারছেন না। তিনি জানিয়েছেন, ৪ জুনের পর তলব করলে তিনি হাজিরা দিতে পারবেন। পাশাপাশি জয়নগর কেন্দ্রের নির্বাচনের কাজেও ব্যস্ত রয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। সিবিআই-এর কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। চিঠির পাশাপাশি সিবিআই-কে ইমেল মারফতও গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন শওকত। তবে উল্লেখ্য, চিঠিতে সুন্দরবনের মানুষের পাশে থাকার কথা বললেও, বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় তাঁকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে।
১ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সব জায়গায় ভোট। তার মধ্যেই ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লাকে তলব করে সিবিআই। আর তা নিয়েই তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক জল্পনা। কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শওকত মোল্লাকে ডেকে পাঠানো হয়। মঙ্গলবারই তাঁর কাছে সিবিআই-এর চিঠি পৌঁছয়। কিন্তু শওকত বুধবার হাজিরা দেননি। সিবিআই সূত্রে খবর, আসানসোলের কয়লা খনি থেকে অবৈধভাবে যে কয়লা তোলা হয়েছিল, তার ভাগ দিয়ে পৌঁছয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ইটভাটায়। তার সঙ্গে শওকত মোল্লার কোনও যোগ ছিল কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
এর আগেও শওকত মোল্লাকে তলব করেছিল সিবিআই। ২০২২ সালের মে মাসে প্রথম হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সে সময় তিনি হাজিরা দেননি। পরে জুন মাসে তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এবার শওকত মোল্লাকে সিবিআই তলবের আগেই প্রকাশ্য সভা থেকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শওকত মোল্লার নাম করেছিলেন। ‘‘যে সব মিনিকিট এখানে ফিশারি করত, তাদের তো এ বার ধরতে হবে। জেলে ঢোকাতে হবে। শওকত মোল্লা, পরেশ রাম দাসরা যদি মনে করেন, চিরদিন একই রকম চলবে, তা হলে ভুল করছেন।” কাকতালীয়ভাবে তারপরই শওকত মোল্লাকে সিবিআই-এর তলব।