Saokat Molla on pirzada kasem siddique: ‘এদের বোধহয় রোজগার ভাল হচ্ছে না…’, কাশেম তৃণমূলে পা দিতেই মুখ খুললেন শওকত
Saokat Molla on pirzada kasem siddique: সোমবার কাশেম সিদ্দিকির নাম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তারপর ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের এক কর্মী সভায় শওকত কার্যত কটাক্ষ করেন কাশেমকে। তাঁর অভিযোগ এই কাশেম সিদ্দিকি তৃণমূলের মন্ত্রীসভা তথা দলকে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছেন।

সোমবার কাশেম সিদ্দিকির নাম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তারপর ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের এক কর্মী সভায় শওকত কার্যত কটাক্ষ করেন কাশেমকে। তাঁর অভিযোগ এই কাশেম সিদ্দিকি তৃণমূলের মন্ত্রীসভা তথা দলকে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছেন। এখন সেই পীরজাদাই যোগদান করছেন তৃণমূলে। এটাই হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্য।
শওকত বলেন, “এদের মনে হয় খুব বেশি রুজি-রোজগার হচ্ছে না। কাশেম সিদ্দিকি যে কখন কী বলেন…।” তিনি আরও বলেন, “আমি দিদিকে ধন্যবাদ জানাব, যে কাশেম সিদ্দিকি সব থেকে বেশি তৃণমূলের সমালোচক ছিলেন, যে কাশেম সিদ্দিকি সব থেকে বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করতেন, যে কাশেম সিদ্দিকি তৃণমূলের নেতা কর্মীদের চোর বলত আজ তৃণমূলে দলে দলে যোগদান করছে। এর একটাই অর্থ আজ যে সরকার বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দল চালাচ্ছেন তাঁরা সঠিক দিকেই এগোচ্ছেন….।”
উল্লেখ্য, কাশেমকে কটাক্ষ করতে ভোলেনি ভরতপুরের তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “কাশেম সিদ্দিকী রাজনীতির অ আ ক খ জানেন না। ওনাকে নিয়ে কথা বলার কিছু নেই।” উল্লেখ্য, ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকি এখন ভাঙড়ের বিধায়ক। একুশের নির্বাচনের আগে বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ISF-র টিকিটে একুশের নির্বাচনে ভাঙড়ে লড়েছিলেন নওশাদ। এরপর বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে ফুরফুরা শরিফের দূরত্ব বাড়ে। গত মার্চে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইফতারে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে অনেক পীরজাদা না থাকলেও মমতার পাশে দেখা গিয়েছিল কাশেমকে। তখনই প্রশ্ন উঠছিল তবে কি কাশেম যোগ দেবেন তৃণমূলে? পরবর্তীতে ঘটল তেমনটাই। তবে কাশেম যোগ দেওয়ায় যে তৃণমূলের একাংশ নেতারা একটু অখুশি সে কথা বলাই বাহুল্য।





