কলকাতা: একে সরস্বতী পুজো, দোসর ১৪ ফেব্রুয়ারি। বলা যায় এদিন ‘ভালবাসাগ্রহণ’ হতে চলেছে। সরস্বতী পুজোই মানে বাঙালির প্রেমদিবস, তার সঙ্গে ইংরেজির ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’! নিঃসন্দেহে গোটা বাংলা প্রেমে মজবে এই সরস্বতী পুজোয়। আর এবার যুব সমাজের মন পেতে হিন্দু মহাসভার সরস্বতী পুজোর থিম ‘প্রেমেও আছি, রাজনীতিতেও আছি’। রুবি হাসপাতাল মোড়ে দুর্গাপুজোর পর এবার সরস্বতী পুজারও আয়োজন করতে চলেছে ‘অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা’। সরস্বতী পুজো হতে চলেছে কলকাতার টালিগঞ্জ অঞ্চলে।
প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় পঁচাত্তর বছর পর দলগতভাবে অংশগ্রহণ করতে চলেছে হিন্দু মহাসভা । তাই এই দুইটি বিষয়কে এক বিন্দুতে এনে রাজ্য সভাপতি ড. চন্দ্রচূড় গোস্বামীর হিন্দুমহাসভার অভিনব সরস্বতী পুজোর থিম ‘প্রেমেও আছি, রাজনীতিতেও আছি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মূলত তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানতে এবং বার্তা দিতেই এই রকম অভিনব থিম হিন্দুমহাসভার । চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য, “প্রেম ভালবাসা বিষয়টি শুধুমাত্র একমুখী অর্থ বহন করে না। প্রেম এই দুই অক্ষরের শব্দটির গভীরতা অনেক । আজ পৃথিবীতে এত হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা বিদ্বেষ বেড়ে গিয়েছে, তার প্রকৃত উপসম বা সমাধান হতে পারে একমাত্র প্রেম ভালোবাসা ও পারস্পরিক সম্মান ।”
তিনি এটাও বলেন, “নারী পুরুষের প্রেম ভালোবাসা বা বিবাহের ক্ষেত্রেও জাতি, ধর্ম, বর্ণ আর্থিক অবস্থা এমনকি লোকমুখে বহুল প্রচলিত লভ জিহাদ, ঘরওয়াপসি ইত্যাদি কিছু ঘৃণ্য ধর্মীয় মৌলবাদ কখনও আসা উচিৎ নয়।” এর পাশাপাশি এই সরস্বতী পুজোর থিমের আরেকটি অংশ হচ্ছে রাজনীতি। চন্দ্রচূড় বলেন, “নতুন প্রজন্ম বা তরুণ ভোটারদের অবশ্যই মন দিয়ে লেখাপড়া করার পাশাপাশি বেশি করে ভোট দেওয়া এবং রাজনীতি করা উচিৎ। একজন সৎ, নির্ভীক এবং নিরপেক্ষ রাজনীতিবিদই পারে দেশের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্ত ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান করতে এবং রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রাজনৈতিক সৌজন্য ফিরিয়ে আনতে।”