সৌরভ দত্ত: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ক্যান্সার চিকিৎসায় কী কী ওষুধ দেওয়া যাবে, কত টাকা দামের ওষুধ দেওয়া যাবে, তা বেঁধে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার একটি বৈঠকেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্যান্সার দিয়ে শুরু হল। এরপর অর্থোপেডিকের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও প্যাকেজ নির্দিষ্ট করে দেবে স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আড়ালে ক্যান্সার চিকিৎসায় দামী ওষুধ লেখার প্রবণতায় কোপ মারল স্বাস্থ্য ভবন। আগামিদিনে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ক্যান্সারের কোন কোন ওষুধ দেওয়া যাবে, তা নির্দিষ্ট করে দিল স্বাস্থ্য দফতরের প্যাকেজ রিভিউ কমিটি। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক ছিল। সেখানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে শহরের ১৫টি ক্যান্সার হাসপাতালের প্রতিনিধির হাজির ছিলেন। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য,
ক্যান্সারে কম দামের ওষুধ থাকলেও দামী ওষুধ লেখার একটা প্রবণতা চিকিৎসকদের একাংশের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছিল।
ক্যান্সারে ইনোভেটিভ মলিকিউল প্রেসক্রাইব করছিলেন চিকিৎসকদের একাংশ।
এর ফলে বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার ঊর্ধ্বসীমা তিন মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছিল।
ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীর পরিজনেরা।
ওষুধ কোম্পানিগুলির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশনের লোভেই এ ধরনের প্রবণতা বলে মত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কত টাকা দামের ওষুধ অনুমোদিত হবে এবং কী কী ওষুধ দেওয়া যাবে তা ঠিক করে দেবে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি। দশ দিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ জমা দিতে বলা হয়েছে। ক্যান্সারের পাশাপাশি অস্থি বিভাগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও প্যাকেজ নির্দিষ্ট করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য ভবন। এ বিষয়ে তাঁদের পর্যবেক্ষণ, অস্থি বিভাগে ছোটখাটো অস্ত্রোপচারের জন্য কোনও প্যাকেজ নেই। সেই সুযোগে সামান্য হাড়ের অস্ত্রোপচারেও বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের প্যাকেজে বিল করা হচ্ছে।
গত বিধানসভা ভোটে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে প্রচারে হাতিয়ার করেছিল রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পে বেলাগাম চিকিৎসার বিলে রাশ টানতে এখন তৎপর স্বাস্থ্য ভবন। আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, পুলিশের জালে অভিযুক্ত