School Student: স্কুলের প্রথম দিন থেকেই বেস্ট ফ্রেন্ড, সেভেনে ওঠার পর স্রেফ একটা কারণেই সেই বন্ধুই কেড়ে নিল হাঁটাচলার ক্ষমতা, কলকাতার নামী স্কুলে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা
School Student Assault: বছর বারোর ক্লাস সেভেন ওই ছাত্র হাটখোলা গোঁসাইপাড়ার গোয়েঙ্কা এলাকার বাসিন্দা। স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল অভিযুক্ত। হঠাৎ বন্ধুত্বে ছন্দপতন। তারপর থেকে ক্লাস রুমের ভিতরে বাইরে ক্রমাগত পুরনো বন্ধুরই বুলিংয়ের শিকার হত নিগৃহীত ছেলে। প্রায় মাস চারেক যাবত।

কলকাতা: ক্লাস সিক্স পর্যন্ত বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। এক সঙ্গে স্কুলে যাওয়া, পাশাপাশি বসা, একসঙ্গে টিফিন খাওয়া- সহপাঠীরা সকলেই জানত ওরা বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু সেভেনে ওঠার পরই হঠাৎ বন্ধুত্বে ছন্দপতন। সেই চিড় আর জোড়া লাগেনি। আর তারই মাশুল গুনতে হল ক্লাস সেভেনের ছাত্রকে। একদা বেস্ট ফ্রেন্ডের হাতে এমন ভাবে আক্রান্ত হল, ক্লাস সেভেনের ছাত্র এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নাগেরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের। কলকাতার নামজাদা প্রথম স্তরে বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে। যদিও এই নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বছর বারোর ক্লাস সেভেন ওই ছাত্র হাটখোলা গোঁসাইপাড়ার গোয়েঙ্কা এলাকার বাসিন্দা। স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল অভিযুক্ত। হঠাৎ বন্ধুত্বে ছন্দপতন। তারপর থেকে ক্লাস রুমের ভিতরে বাইরে ক্রমাগত পুরনো বন্ধুরই বুলিংয়ের শিকার হত নিগৃহীত ছেলে। প্রায় মাস চারেক যাবত। নিরুপায় হয়ে বুলিং ঠেকাতে নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান নিগৃহীত ছাত্রের বাবা মা। এরপর যা ঘটল তা হার মানায় সিনেমার চিত্রনাট্যকেও।
গত ২৮ নভেম্বর অন্যান্য দিনের মতোই স্কুলে যায় নিগৃহীত ছাত্র। স্কুল ছুটির পর স্কুল বাসে ওঠার সময় বাসের পার্কিং এরিয়ায় নিগৃহীত ছাত্রকে ঘিরে ধরে অভিযুক্ত ছাত্র ও তার দুই বন্ধু। ক্রমাগত তাকে বুকে হাতে পায়ে বুট পরে লাথি মারতে থাকে। সেই সময় বাকি দুই সহপাঠী নিগৃহীত ছাত্রের দুই হাত দুই দিক দিয়ে ধরে রেখেছিল বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, বেশ কিছুক্ষণ মারধরের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভয়ঙ্কর শারীরিক এবং মানসিক আহত অবস্থায় নিগৃহীত ছাত্র বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু সেদিনই বাড়ি ফিরে দেখেন বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মা বাবাকে নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। তাই সেদিন আর কিচ্ছু বাবা-মাকে জানাতে পারেনি ওই ছাত্র। ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে ছেলের শারীরিক অবনতি লক্ষ্য করতে পারেন বাবা-মা। ৪ ডিসেম্বর সকাল থেকে প্রচণ্ড জ্বর আসে নিগৃহীত ছাত্রের, সঙ্গে হাঁটার ক্ষমতাও প্রায় চলে যায়। তারপর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্র।
