AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sealdah: কেউ B.Tech, কেউ M.Tech! শিয়ালদহ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাশেই কেন বিদেশি অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন মেধাবি ইঞ্জিনিয়াররা? জয়েন্ট সিপি ক্রাইম জানালেন ভয়ঙ্কর অপরাধের প্ল্যান!

Sealdah: জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন শিবশঙ্কর যাদব, তিনি উত্তরপ্রদেশের মউ এলাকার বাসিন্দা,  দেবান গুপ্তা, কানপুরের বাসিন্দা, বেনারসের বাসিন্দা রাহুল যাদব, মউয়ের বাসিন্দা আদিত্য মোরিয়া,  ও গাজীপুরের বাসিন্দা রূকেশ সাহানি। তাঁদের মধ্যেই রূকেশকেই প্রধান চক্রী হিসাবে মনে করা হচ্ছে।

Sealdah: কেউ B.Tech, কেউ M.Tech! শিয়ালদহ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাশেই কেন বিদেশি অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন মেধাবি ইঞ্জিনিয়াররা? জয়েন্ট সিপি ক্রাইম জানালেন ভয়ঙ্কর অপরাধের প্ল্যান!
সাংবাদিক বৈঠকে জয়েন্ট সিপি ক্রাইম Image Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Jan 28, 2025 | 3:24 PM
Share

কলকাতা: শিয়ালদহ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাশেই বৈঠকখানা বাজার এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন ওঁরা। সেখান থেকেই তাঁদের গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ পুলিশ। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। কলেজের পাশ থেকেই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় শহর কলকাতার বুকে। কিন্তু ধৃত ৫ জনকে জেরা করে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ধৃতদের প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত। কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন, কেউ বিজ্ঞানে স্নাতক, কেউ বাণিজ্যবিভাগে স্নাতকোত্তর, আবার কেউ আইটিআই ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু কী উদ্দেশ্যে তাঁরা কলেজের পাশে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে জড়ো হয়েছিলেন? কোথা থেকেই বা পেলেন অস্ত্র?

মঙ্গলবার এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার ও নগরপাল মনোজ বর্মা।  জয়েন্ট সিপি ক্রাইম জানান,  কিছুদিন আগে এসটিএফের কাছে একটি ইনপুট আসে। জানা যায়, উত্তরপ্রদেশ থেকে সন্দেহজনক টিম কলকাতা এসে রয়েছে কোনও বড় অপরাধ সংগঠিত করার জন্য।

সূত্র মারফত খবর পেয়ে সক্রিয় হয় এসটিএফ। তদন্ত টিমে ছিলেন টেকনিক্যাল অ্যানালেসিস টিমের কয়েকজন সদস্যও। সূত্র মারফত খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ বৈঠকখানা থেকে ৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কথায় অসঙ্গতি লাগায় তল্লাশি চালানো হয়। একটি সেমি অটোমেটিক বন্দুক, সিঙ্গল শর্টার, ২৬সেন্টিমিটার লম্বা নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্রও ছিল না। এসটিএফ পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কেস দায়ের করে।

জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন শিবশঙ্কর যাদব, তিনি উত্তরপ্রদেশের মউ এলাকার বাসিন্দা,  দেবান গুপ্তা, কানপুরের বাসিন্দা, বেনারসের বাসিন্দা রাহুল যাদব, মউয়ের বাসিন্দা আদিত্য মোরিয়া,  ও গাজীপুরের বাসিন্দা রূকেশ সাহানি। তাঁদের মধ্যেই রূকেশকেই প্রধান চক্রী হিসাবে মনে করা হচ্ছে। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম জানিয়েছেন,  তাঁরা প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত। বিটেক ইঞ্জিনিয়ার, এম কম, আইটিআই, বিএ, বিএসসি-তে স্নাতক।  তাঁদের কাছ থেকে সেমি অটোমেটিক পিস্তলটি উদ্ধার হয়েছে, সেটি  ইতালির। বিদেশি বন্দুক তাঁদের কাছে কোথা থেকে এল, সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।।

ইতিমধ্য়েই উত্তরপ্রদেশে স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। সেখানকার পুলিশ সুপারকেও মেইল করে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। ধৃতদের প্রোফাইল, তাঁদের আগের কোনও কেস হিস্ট্রি রয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা চলছে। এখনও পর্যন্ত তাঁদের কাছ থেকে কোনও নথি উদ্ধার হয়নি। পুলিশ তাঁদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বাকি তথ্য জানার চেষ্টা করছে।

জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে এসে কলকাতার আশপাশের এলাকায় (এলাকার নাম তদন্তের স্বার্থে জানাননি পুলিশকর্তা) একটি লজে ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। কোনও নথি না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁরা লজ ভাড়া নিলেন, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একজনের কাছ থেকে কিছু টিকিট পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশকর্তা জানিয়েছেন। একটি ট্রেনের টিকিট পাওয়া গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার কেউ জড়িত কিনা, সেটা সামনে আসেনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় শিয়ালদহ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাশে অভিযানে যায় এসটিএফের টিম। সেখান থেকেই অস্ত্র-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।