কলকাতা: সব রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের (Panchayet Department) সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসবে কেন্দ্র। মে মাসের মাঝামাঝি সময়েই দিল্লিতে সেই বৈঠক হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের ওই বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে সব রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের সচিবদের। এ রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের সচিবের কাছেও ওই বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন কি না, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ডাকা এই বৈঠক বাংলার প্রেক্ষিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে যদি পঞ্চায়েত সচিব কেন্দ্রের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকেন, তাহলে বাংলার একশো দিনের কাজ ও আবাসের যে টাকা বাকি রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে রাজ্যের শাসক দল, সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। তার আগে একশো দিনের কাজের টাকা বা আবাসের টাকার মতো স্থানীয় স্তরের ইস্যুগুলিকে তুলে ধরে রাজ্য সরকার বার বার কেন্দ্রকে দুষেছে। সম্প্রতি বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দু’দিনের ধরনাতেও বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু মমতাই নন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়ে প্রায় প্রতিটি সভা থেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকার কথা। এমন অবস্থায় কেন্দ্রের তরফে ডাকা পঞ্চায়েত স্তরের এই পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যের ভূমিকা কী থাকে, সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
উল্লেখ্য, রাজ্য যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে নিত্যদিন সরব হচ্ছে, তখন বিজেপির দিক থেকে পাল্টা দাবিও উঠে আসছে। বিজেপি বা কেন্দ্রের তরফে যুক্তি, রাজ্যের থেকে টাকার হিসেব ঠিকঠাক দেওয়া হয় না। সেই কারণেই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। রাজ্যের তরফে টাকার সঠিক হিসেব দেওয়া হলেই কেন্দ্র টাকা মিটিয়ে দেবে বলে পাল্টা যুক্তি বিজেপির।