কলকাতা: ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইনট্যানজেবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল কলকাতার দুর্গাপুজোকে। ইউনেস্কোকে পাল্টা ধন্যবাদ জানিয়ে বড় উদযাপনে মেতেছিল বাংলা। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর শহরে এক বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোজা কথায় প্রায় ১ মাস এগিয়ে গিয়েছিল গতবারের পুজো। এবার যেন একই ছবি দেখা যেতে চলেছে বাংলার বুকে। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে পুজো। খুলে যেতে চলেছে কলকাতার একাধিক বিখ্যাত পুজো মণ্ডপের দরজা। যদিও তা কিন্তু, আমার-আপনার জন্য নয়। ধন্দে পড়ে গেলেন নিশ্চয়! সূত্রের খবর, এবার পুজো দেখার জন্য বিদেশ থেকে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ইউনেস্কোর টিম আসছে কলকাতায়। আসছেন বেশ কিছু বিদেশি পর্যটক।
তাঁদের জন্যই ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পুজো মুডে চলে যাবে চেতলা অগ্রণী থেকে টালা প্রত্যয়ের মতো পুজোগুলি। ফুল অন পুজো মুডে চলে যেতে চলেছে শাসকদলের তাবড় তাবড় তত্ত্বাবধানে চলা ক্লাবগুলি। তালিকায় যেমন রয়েছে ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রণী, অরূপ বিশ্বাসের সুরুচি সংঘ, অতীন ঘোষের হাতিবাগান সর্বজনীন, সমাজসেবী সংঘের মতো নামজাদা সব পুজো। ইতিমধ্যেই একাধিক পুজো কমিটির গেটে ঝুলছে পোস্টার-ব্যানার। তাতেই সাফ লেখা, এবার পুজো এগারো থেকেই।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই মহালয়ার আগে পরে শহরের একাধিক পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করতে দেখা গিয়েছে মমতাকে। মহালয়া থেকেই রাস্তায় নেমেছে মানুষের ঢল। অন্যদিকে প্রতিবছরই শহরের একাধিক নামজাদা ক্লাবের মধ্যে পুজো নিয়ে একটা প্রতিযোগিতার ছবিও দেখতে পাওয়া যায়। কোথায় কত ভিড় তা নিয়ে কৌতূহল চরমে থাকে আম-আদমিরও। এদিকে হাতিবাগান, চেতলা অগ্রনীর মতো পুজোর আগাম উদ্বোধন হলেও তালিকায় নেই জগৎ মুখার্জী পার্ক, আহিড়িটোলা, লেবুতলা পার্কের মতো পুজো। লেবুতলা পার্ক বা সন্তোষমিত্র স্কোয়ারের পুজো আবার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো বলে খ্যাত। গত বছরই সেখানে লালকেল্লার আদলে তৈরি হয়েছিল মণ্ডপ। ঢল নেমেছিল মানুষ। কমবেশি প্রতিবছরই নিত্যনতুন থিমের চমক দেখা যায় লেবুতলায়। এবার সেখানে হচ্ছে রাম মন্দিরের আদপে মণ্ডপ। কিন্তু, কেন এই পুজোকে আগাম উদ্বোধনীর তালিকায় কেন রাখা হল না তা নিয়ে নানা মহল থেকে উঠছে প্রশ্ন। যদিও সজল ঘোষ বলছেন, “আমাদের কাছে এ নিয়ে কোনও কিছুই আসেনি। এলেও আমরা প্রত্য়াখ্যান করতাম। মাকে আমরা শুধু দাঁড় করিয়ে রাখতে পারব না। “