SFI Student Strike: ছাত্রভোটের আর্জি থেকে অশান্তি! TMC-এর বিরুদ্ধে ‘আক্রমণের’ অভিযোগ তুলে ধর্মঘটের ডাক SFI-এর
SFI Student Strike: প্রসঙ্গত, শনিবারও যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই পথ অবরোধে নেমেছে এসএফআই। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীকে অপমান করার অভিযোগে যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূলের মন্ত্রী, সাংসদ ও কর্মী-সমর্থকরা।

কলকাতা: প্রথমে মৌখিক হুঁশিয়ারি, তারপর বিবৃতি জারি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া অশান্তিতে আক্রান্ত সংগঠনের সদস্যরা। শনিবার এমনটাই অভিযোগ তুলে পথে নামল এসএফআই। আগামী সোমবার রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিল এই বাম ছাত্র সংগঠন।
এদিন সন্ধ্যায় যাদবপুরের ৮বি মোড়ে অবরোধে বসেন ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। সেখান থেকেই সর্বপ্রথম এই ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি তোলে তারা। এরপর রাত গড়াতেই প্রকাশিত হল বিবৃতি। তাঁদের দাবি, ২০১৭ সাল থেকে গোটা রাজ্যে সমস্ত কলেজে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ছাত্র পরিষদের নির্বাচন। ২০২০ সালের পর থেকে নির্বাচন বন্ধ হয়েছে যাদবপুরের অন্দরেও। শনিবার সেই প্রসঙ্গেই ওয়েবকুপার বার্ষিকী সভায় আগত শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে বাঁধে বচসা।
এসএফআই-এর অভিযোগ, তৃণমূলের ছাত্র নেতাদের বাধা ঘিরে বচসা ও অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার জেরে আহত হয় তাদের বেশ কয়েকজন সদস্য। এমনকি, বিক্ষোভরত এক ছাত্রকে গাড়ি চাপা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী, দাবি এই বাম ছাত্র সংগঠনের। তবে সোমবার ধর্মঘটের আগে রবিবারও রাজ্যজুড়ে একযোগে আন্দোলন-প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে তারা। আগামিকাল সুলেখা মোড় থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত চলবে প্রতিবাদ মিছিল।
প্রসঙ্গত, শনিবারও যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই পথ অবরোধে নেমেছে এসএফআই। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীকে অপমান করার অভিযোগে যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূলের মন্ত্রী, সাংসদ ও কর্মী-সমর্থকরা। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, সায়নী ঘোষ-সহ বেশ কয়েক জন তৃণমূল নেতা-কর্মী। প্রতিবাদের পারদ এতটাই চড়ে যে ভরসন্ধ্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামতে হয় পুলিশকর্তাদের।

