কলকাতা: বুধবার রাত থেকে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালি-মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে তৃণমূল বহিষ্কার করেছে ঠিকই, তবে জেলা পরিষদের পদ থেকে সরানো হয়নি। কেন সরানো হল না, আজ সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রাজ্যকে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল মামলার শুনানি। এদিন সন্দেশখালির বেশ কয়েকজন মহিলা মামলার পার্টি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে হলফনামা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এদিকে, বাড়ির সামনে সে দিন কারা ইডি-র ওপর হামলা চালিয়েছিল, তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন শেখ শাহজাহান।
পার্টি হতে চান মহিলারা
এদিন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল আদালতে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় বুধবার গিয়েছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁরা মামলার পার্টি হতে চান। হলফনামা চেয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখতে হবে ওই মহিলাদের, নাহলে রাজ্য বলতে পারে তারা সেখানকার বাসিন্দা নন।” এদিনই আদালত বান্ধব আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় একটি রিপোর্ট দিয়ে জানান, মহিলাদের অসম্মানের কথা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে কোনও সীমা নির্দিষ্ট না করেই জমি দেওয়া হচ্ছে?
‘আমি অন্ধকারের পোস্টার বয়’
শাহজাহানের আইনজীবী এদিন সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, “এখন আমি অন্ধকারের পোস্টার বয়। কাস্টডি ট্রায়াল প্রয়োজন নেই আমার ক্ষেত্রে।” তাঁর দাবি, কিছু না করা সত্ত্বেও তাঁকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আরও দাবি করা হয়েছে, জেলা পরিষদের বৈঠকে যাননি তিনি, কাউকে হুমকিও দেননি। ইডি অফিসারদের ওপরে কীভাবে আক্রমণ হল সেটা জানা শাহজাহানের পক্ষে সম্ভব নয়।
সুরক্ষা চায় ইডি
এদিন আদালতে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে ইডি। তাদের বক্তব্য, শাহজাহান গ্রেফতার হতে পারেন, কিন্তু ঔরঙ্গজেব এখনও বাইরে আছেন। তাই সুরক্ষা দেওয়া হোক। কিন্তু সুরক্ষা কীভাবে দেওয়া যেতে পারে, সেই প্রশ্ন করেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “আপনাদের অভিযোগ পুলিশকে ভরসা করা যায় না। পরের শুনানিতে জানাতে হবে সুরক্ষা কীভাবে দেওয়া যায়?”
এজিকে এদিন বিচারপতি বলেন, “সংবাদপত্রে পড়লাম অভিযুক্ত একজন নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য। এখন তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁকে পার্টি থেকে সরালেও ওই পদেই রেখে দেওয়া হয়েছে।” গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন এজি।