SIR: এবার ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ছবিও তুলতে হবে! BLO-দের জন্য কমিশনের আরও এক নয়া নির্দেশ
SIR In West Bengal: অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এনুমারেশন ফর্মে ভোটাররা যে ছবি দিচ্ছেন, তাতে মুখ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আবার বিএলও-দের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে আসে নতুন নির্দেশিকা। এবার ভোটারদের ফটো স্ক্যান করার জন্য অ্যাপের সাহায্য নিচ্ছে কমিশন। এতে কেউ আদৌ ভুয়ো ছবি ব্যবহার করছে কি না সেটা দেখতে পারবে কমিশন।

কলকাতা: এসআইআর প্রক্রিয়ার মধ্যে বিএলও-দের জন্য আবারও নতুন নির্দেশিকা। এবার কমিশনের নির্দেশ এনুমারেশন ফর্মে ছবি স্পষ্ট না থাকলে ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে তুলতে হবে ছবি। অ্যাপের মাধ্যমে ছবি তুলতে হবে বিএলও-দের। তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ায় ভুল হলে শাস্তির মধ্যে পড়তে হবে বিএলও-দেরই। নকল বা ভুয়ো ভোটার ঠেকাতে এবার AI সফটওয়্যার ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই বিএলও-দের একাংশের বক্তব্য, দিনের পর দিন নতুন নির্দেশিকায় আরও চাপ বাড়ছে তাঁদের ওপরে।
অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এনুমারেশন ফর্মে ভোটাররা যে ছবি দিচ্ছেন, তাতে মুখ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আবার বিএলও-দের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে আসে নতুন নির্দেশিকা। এবার ভোটারদের ফটো স্ক্যান করার জন্য অ্যাপের সাহায্য নিচ্ছে কমিশন। এতে কেউ আদৌ ভুয়ো ছবি ব্যবহার করছে কি না সেটা দেখতে পারবে কমিশন। আগামী ৯ ডিসেম্বরের পর এই টেকনলোজি ব্যবহার করবে কমিশন।
বিএলও-দের একাংশের অভিযোগ, রোজই কমিশনের তরফ থেকে নতুন নতুন নির্দেশিকা আসছে। তাতে আরও অনেক বেশি কাজের চাপ পড়ছে তাঁদের। তাঁরা যখন প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁদের এই ধরনের কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। কেবল ফর্ম তোলা ও ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী নিয়মে মেনে চলতে হবে, সেটা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের দায়িত্বও বিএলও-দের। তাঁদের অভিযোগ, এক্ষেত্রে একএকটা ফর্মের পিছনেই অনেক সময় চলে যাচ্ছে। এত স্বল্প সময়ে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা তাঁদের কাঠে কঠিন। এই নিয়ে একাধিক জায়গায় বিএলও-দের বিক্ষোভের ছবিও ধরা পড়েছে।
