কলকাতা : আদালতের নির্দেশে ইডি দফতরে নথি জমা করলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী অনিন্দিতা বেরা। শুক্রবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ইডি দফতরে পৌছে যান তিনি। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার কিছু বেশি সময় সেখানে ছিলেন অনিন্দিতা। শেষে রাত আটটার সময় ইডি দফতর থেকে বেরোন তিনি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ইডির অফিসারদের কাছে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন তিনি। এসএলএসটি নবম ও দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন অনিন্দিতা। মেধা তালিকায় নামও ছিল। কিন্তু অভিযোগ, তাঁর থেকে কম নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন কয়েকজন। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেন অনিন্দিতা বেরা। এই সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিকেও তদন্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত।
সেই অনুযায়ী সিবিআইকে দেওয়া নথি অভিযোগকারিণীকে ইডির দফতরেও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শুক্রবার সেই নথি জমা করতে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন অভিযোগকারিণী অনিন্দিতা বেরা। ইডির অফিসে যাওয়ার সময় অনিন্দিতা বলেছেন, “সিবিআইকে যে সমস্ত নথি দিয়েছি, সেগুলি ইডি অফিসেও দিতে বলা হয়েছিল। সেই নথিগুলি নিয়েই ডাকা হয়েছে। আমি SLST নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেছিলাম। সেখানে আমার পরে যাঁর ব়্যাঙ্ক ছিল, তাঁর চাকরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার চাকরি হয়নি। সেই নিয়ে মামলা করেছিলাম আদালতে। সেই সংক্রান্ত নথি নিয়েই ডেকেছে।”
উল্লেখ্য, নবম-দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরির জন্য ২০১৬ সালে এসএলএসটি পরীক্ষা দিয়েছিলেন অনিন্দিতা বেরা। এই সংক্রান্ত মামলায় এর আগে, গতমাসের ২৭ তারিখ সিবিআই অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অনিন্দিতাকে। ওই দিন নিজাম প্যালেসে সিবিআই গোয়েন্দাদের হাতে সমস্ত নথি তুলে দিয়েছিলেন তিনি। এবার আদালতের নির্দেশে ইডির অফিসেও সেই সব নথি জমা দিয়ে এলেন অনিন্দিতা।
প্রসঙ্গত, এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সল্টলেকে তাঁদের প্রতিবাদ – বিক্ষোভ – আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তার আগে প্রেস ক্লাবের সামনেও অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৬ সালে তাঁদের যে ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশিত হয়, তাতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। মেধাতালিকায় প্রথম দিকের যে নামগুলি ছিল, সেগুলি বাদ দিয়ে পিছনের দিক থেকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।