Jyotipriya Mallick: বন দফতরে আরও বড় দুর্নীতি? বালুর ‘প্রোমোশন’ হয়েছিল, বলছেন মামলাকারী

Jyotipriya Mallick: বিপ্লব বাবুর অভিযোগ, শিলিগুড়ির গাছ কেটে প্রায় পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আগে সাফারি করেছেন, তাঁরা এখন গেলে কষ্ট পাবেন। বালু মন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়েও মামলা করেছিলেন বিপ্লব চৌধুরী।

Jyotipriya Mallick: বন দফতরে আরও বড় দুর্নীতি? বালুর 'প্রোমোশন' হয়েছিল, বলছেন মামলাকারী
বনমমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2023 | 5:30 PM

কলকাতা: দীর্ঘদিন খাদ্য দফতর সামলানোর পর ২০২১ সালে আচমকাই খাদ্য দফতর থেকে সরিয়ে বন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে, তা খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই হয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি। তবে কি বন দফতরে যাওয়ার পর আর কোনও কেলেঙ্কারি ঘটেনি? সমাজকর্মী বিপ্লব চৌধুরীর দাবি, বন দফতর পাওয়ায় আদতে প্রোমোশনই হয়েছিল বালুর। আয়ও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। এই বিপ্লব চৌধুরী বিভিন্ন সময় বন দফতর ও অন্যান্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে মামলা করেছেন আদালতে।

TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে বিপ্লব চৌধুরী বলেন, “খাদ্য দফতর থেকে বন দফতরে পাঠানোটা পদের অবনতি নয়। আমার কাছে যা তথ্য আছে, তাতে তাঁর প্রোমোশনই হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখেছি, বন দফতরের ব্যপ্তি অনেক বড়। অনেক শাখা দফতর আছে। আসলে খাদ্য দফতর ভালভাবে সামলানোর জন্য বন দফতর উপহার দেওয়া হয়েছিল ওঁকে।”

কিছুদিন আগে একটি মামলায় তিনি দাবি করেছিলেন, বন দফতরের জায়দা দখল করে চলছে ব্যবসা। মামলাকারীর দাবি, জ্যোতিপ্রিয় বন দফতরে যাওয়ার পর শিলিগুড়ির রেঞ্জ অফিসের জায়গায় দখল করেন মন্ত্রীর পরিচিত সুব্রত রায় নামে এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, নেপাল হাইওয়ের পর মার্বেলের ব্যবসা চলছে তাঁর। হাইকোর্ট বিপ্লব বাবুর মামলা গ্রহণ করেছিল। তবে অভিযোগ, এখনও সেই জায়গা খালি হয়নি। রাজ্য বলেছে যে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হয়েছিল, তারপরই ব্যবসা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, বন দফতরের জায়গায় ট্রেড লাইসেন্স হয় কী করে? বিপ্লব চৌধুরী আরও বলেন, ‘বাম আমলেও ওই মার্বেলের দোকান ছিল, পরে বিস্তার ঘটে। দেড়-দু কিলোমিটার জায়গা জুড়ে রয়েছে সেই দোকান।’

বিপ্লববাবুর আরও অভিযোগ, শিলিগুড়ির গাছ কেটে প্রায় পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আগে সাফারি করেছেন, তাঁরা এখন গেলে কষ্ট পাবেন। বালু মন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়েও মামলা করেছিলেন বিপ্লব চৌধুরী। এরপর হাইকোর্ট গাছ কাটা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওই মামলাকারীর। তাঁর দাবি, কোনও নজরদারি হচ্ছে না। দক্ষ অফিসারদেরও বদলি করে দেওয়া হয়েছে।