কলকাতা: বীরভূম থেকে কলকাতায় ফিরে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বীরভূমের সভা থেকে পঞ্চায়েত নিয়ে কোনও বার্তা না দিলেও নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে শুক্রবার সন্ধের শাহি সভা পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পঞ্চায়েতের জন্য বিজেপির নীলনকশা ছকে দিয়েছেন মোদীর সেনাপতি। পাশাপাশি প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও কী কী করণীয় সেই নিয়েও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোকপাত করেছেন অমিত শাহ। দলীয় সূত্রের তেমনই জানা যাচ্ছে। কী কী বার্তা দিয়েছেন শাহ?
প্রথমত, যে দলীয় কর্মীরা সারা বছর ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন, পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের প্রাধান্য দিতে হবে। দলীয় সূত্রের খবর, নিউটাউনের বৈঠকে এমনই বার্তা দিয়েছেন শাহ।
দ্বিতীয়ত, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস নয়, সেই বার্তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিজেপির অন্যতম মাপকাঠি হতে চলেছে এটি। সূত্রের খবর, অমিত শাহ রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছে, এমন প্রার্থী বাছাই করা চলবে না যাঁর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একেবার স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদেরই প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে।
তৃতীয়ত, পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে সাধারণ মানুষের মতামত। সাধারণ মানুষ কাকে ওই এলাকায় প্রার্থী হিসেবে চাইছেন, সেই বিষয়টির দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আমজনতার মতে যাঁর দিকে পাল্লা ভারি থাকবে, পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁকেই গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই ঘিরে দলের নীচুতলার অন্দরে যাতে কোনও দ্বন্দ্ব তৈরি না হয়, তার জন্য এখন থেকেই জেলায় জেলায় নেতৃত্বকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে আলোচনা করা জন্য বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে দলের নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গেও বৈঠকে বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
চতুর্থত, পঞ্চায়েত ভোট প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গতবারের বিজয়ীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করতে বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।