কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব তৃণমূলের প্রতিনিধি দল ঢুকে গিয়েছে রাজভবনে। আজ বিকেল চারটের সময় অভিষেকদের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। তবে নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই অভিষেকরা পৌঁছে গিয়েছেন রাজভবনে। অভিষেকদের সঙ্গে দেখা করেই ফের দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করে সোমবার সন্ধের বিমানেই রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান।
প্রসঙ্গত, একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে বাংলার গরিব মানুষদের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে লাগাতার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সম্প্রতি ২-৩ অক্টোবর দিল্লিতে গিয়েও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে তৃণমূল। বাংলার ‘বঞ্চিতদের’ বান্ডিল বান্ডিল চিঠি নিয়ে দিল্লিতে কৃষি ভবনেও গিয়েছিলেন অভিষেকরা। কিন্তু সেখানে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁদের। সেই বান্ডিল বান্ডিল চিঠি আবার কলকাতায় ফিরিয়ে এনেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে বাংলার গরিব মানুষদের প্রতি সেই বঞ্চনার অভিযোগ জানাতে চান তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত ৫ অক্টোবর থেকে সেই দাবিতে রাজভবনের বাইরে টানা ধরনা-কর্মসূচি চলছে তৃণমূলের। অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি হয়েছে রাজভবনের বাইরে। আজ সেই ধরনার পঞ্চম দিন। আজ বিকেল ৪টের সময় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। দিল্লি থেকে ফিরিয়ে আনা সেই বান্ডিল বান্ডিল চিঠি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
এমন অবস্থায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে আলোচনার পরপরই রাজ্যপাল বোসের ফের দিল্লি যাত্রা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অভিষেকরা দাবি তুলেছেন, রাজ্যপাল যাতে তাঁদের ইস্যুগুলি নিয়ে কেন্দ্রের থেকে জানতে চান। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন, এই ২০ লাখ মানুষকে দিয়ে কাজ করানো হয়েছিল কি না এবং যদি কাজ করানো হয়ে থাকে, তাহলে কোন যুক্তিতে বা কোন আইনে কেন্দ্র তাঁদের টাকা আটকে রেখেছে? এই বিষয়টি যাতে রাজ্যপাল বোসও কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন অভিষেক।