কলকাতা: অষ্টমীর সকালে টিভি নাইন বাংলায় খোলামেলা আড্ডায় শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)। রাজ্য রাজনীতিতে বহু চর্চিত দুই নাম। এককালে তৃণমূলে ছিলেন শোভন, তারপর পদ্ম শিবিরে… এখন আবার রাজনীতির পিচে ফ্রন্ট ফুটে খেলার মেজাজে নেই শোভন বাবু। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যেমন স্নেহ করতেন, তা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে অনেক চর্চা হয়েছে। কিন্তু এখন? এখনও কি সব তেমনই রয়েছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ককে এককথায় কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন শোভন বাবু? প্রশ্ন করায় উত্তর এল ‘অনন্য’। সেটা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না বলেই মত শোভন বাবুর। সঙ্গে কোনও দলের নাম না করে শোভন বাবু আরও বলেন, “বন থেকে বাঘ তোলা যায়। কিন্তু বাঘের মন থেকে বন তোলা খুব কষ্টের।”
শুধু রাজনীতির আঙিনাতেই নয়, শোভন -বৈশাখী যখন আড্ডায় তখন রাজনীতির বাইরে চর্চাও স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে। বৈশাখী দেবীর সঙ্গে সম্পর্ককে এককথায় কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন শোভন বাবু? তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শোভন বাবুর উত্তর আসে, “মেড ফর ইচ আদার।” কিন্তু পরক্ষণেই আবার শোভনবাবুকে কিছুটা থামিয়ে দিয়েই বৈশাখী দেবী বললেন, “মেড ফর ইচ আদার নয়, ম্যাড ফর ইচ আদার।” বৈশাখী দেবী বলেন, “যখন চ্যাটে ও মেড ফর ইচ আদার লিখত, আমি লিখতাম ম্যাচ ফর ইচ আদার। এটা হল আমাদের দুই জনের রসায়ন। আমাদের দুই জনের প্রতি ভালবাসা যেমন আছে, তেমনি উন্মাদনাও আছে। একটি বিষয় খুব ভাল রাগে, সময় অনেক সময় অনেক কিছু ফিকে করে দেয়। কিন্তু আমাদের অনুভূতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক বেশি গাঢ় হয়েছে। যত বেশি প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হয়েছি আমরা, তত বেশি ও শক্ত করে হাতটা ধরেছে।”
উল্লেখ্য, নিজের রাজনীতিক অবস্থান সম্পর্কেও এদিন কিছুটা মুখ খোলেন শোভন বাবু। বললেন, “রিকগনাইজ়ড পার্টি মেম্বারশিপে আমি হয়ত নেই। রিকগনাইজ়ড পলিটিক্যাল পার্টি ও অ্যাকটিভ পলিটিক্স কথা দুটির মধ্যে অনেক ফারাক আছে।”