কলকাতা: সামনের সপ্তাহেই ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। দ্রৌপদী মুর্মু এবং যশবন্ত সিনহা লড়ছেন রাষ্ট্রপতি হওয়ার লড়াইয়ে। যদিও বিজেপি সমর্থিত দ্রৌপদী অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন এই লড়াইয়ে। দেশের রাষ্ট্রপতি বেছে নিতে ১৮ জুলাই ভোট দেবেন সাংসদ এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধায়করা। তবে কিছু বিশেষ পদ্ধতির মধ্য়ে দিয়ে হয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ব্য়ালট পেপারে যে কোনও পেন দিয়ে নিজের পছন্দ জানাতে পারেন না ভোটদাতারা। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া বিশেষ পেন দিয়েই ভোট দিতে হয়। যে পেন দেশের প্রথম নাগরিককে মসনদে বসায়, আসুন দেখে নিই তার মাহাত্ম্য।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া বিশেষ ধরনের পেন দিয়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে হয়। বেগুনি কালির সেই পেন তৈরি হয় মাইসুরুতে। সেখানকার মাইশোর পেইন্টস অ্যান্ড ভার্নিস লিমিটেড তৈরি করে বেগুনি কালির ওই বিশেষ পেন। দেশের অন্য নির্বাচনে যে কালি ভোটারদের হাতে লাগানো হয়, সেই কালিও তৈরি করে এই সংস্থা। ২০১৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় থেকে ব্য়বহার করা হচ্ছে বিশেষ এই পেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটদাতাদের দেওয়া হবে এই বিশেষ মার্কার পেন। ভোট শেষ হলে তা নিয়ে নেয় কমিশন। এই কালি কাগজের উপর অনেক বেশি স্থায়ী হয়। সহজে সেই কালি নষ্ট হয় না বলে জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। প্রত্যেক পেন ব্যবহার করে ১০০০ জন ভোট দিতে পারে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিডের কারণে এ বারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বেশি সংখ্যক পেন ব্যবহৃত হবে।
মাইশোর পেইন্টস অ্যান্ড ভার্নিস লিমিটেড নামের ওই সংস্থা দেশের নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় কালি তৈরি করে। ১৯৬২ সালে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্র সরকার এবং ন্যাশনাল রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এনআরডিসি)-এর মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে ভোটারদের হাতে যে কালি লাগানো হয়, তা সরবরাহ করার চুক্তি হয়েছিল। পরবর্তী কালে পুরসভা এবং অন্য নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত কালিও সরবরাহ করা শুরু করে মাইশোর পেইন্টস অ্যান্ড ভার্নিস লিমিটেড।