SSC Recruitment: শিক্ষক নিয়োগে নতুন দুর্নীতি? SMS-এ নিয়োগপত্র মামলায় হাইকোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণ

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 30, 2023 | 4:36 PM

SSC Recruitment: বিচারপতি বসু জানতে চেয়েছিলেন, এসএমএস-এ নিয়োগপত্র দেওয়া হল কেন? রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। বুধবার আদালতে রিপোর্ট দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন।

SSC Recruitment: শিক্ষক নিয়োগে নতুন দুর্নীতি? SMS-এ নিয়োগপত্র মামলায় হাইকোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণ
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু
Image Credit source: টিভি নাইন বাংলা

Follow Us

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ থেকে পোস্টিং, সব ক্ষেত্রেই বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক মামলাও চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। নিয়োগ সংক্রান্ত তেমন একটি মামলায় অভিযোগ উঠেছিল এসএমএস-এর মাধ্যমে নিয়োগ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগপত্রের কোনও হার্ড কপি না দিয়ে কীভাবে শুধুমাত্র এসএমএস পাঠিয়েই যোগদানের কথা বলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আদালতে। আজ, বুধবার সেই মামলায় এসএসসি-র বক্তব্য শোনে আদালত। এরপরই দুই মামলাকারীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এক এক সপ্তাহের মধ্যে উভয়কেই সুপারিশ দিয়ে চাকরি দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এসএমএস-এর মাধ্যমে কেন নিয়োগ করা হল, তার তদন্ত প্রয়োজন বলেও পর্যবেক্ষণ আদালতের।

সালমা সুলতানা এবং রিক্তা চট্টোপাধ্যায় নামে দুই চাকরি প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এসএসসি-র নবম-দশমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সালমার দাবি ছিল, এসএলএসটি-র নিয়োগে তাঁর র‍্যাঙ্ক ছিল ২০৮। তারপরও চাকরি পাননি তিনি। পরে আদালত নির্দেশ দেয় সালমাকে কাউন্সেলিং-এর জন্য ডাকতে হবে এসএসসি-কে। অভিযোগ, তাঁকে কাউন্সেলিং-এর জন্য ডাকা হয়নি, কিন্তু এসএমএস-এর মাধ্যমে নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এতেই সন্দেহ হয় মামলাকারীর।

বিচারপতি বসু জানতে চেয়েছিলেন, এসএমএস-এ নিয়োগপত্র দেওয়া হল কেন? রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। বুধবার আদালতে রিপোর্ট দিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, সালমা ও রিক্তার মতো এমন অনেক চাকরি প্রার্থীকেই এসএমএস-এর মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০০ অধিক প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে এভাবেই। এমনকী অনেক শিক্ষক চাকরিও করছেন। অনেককেই দেওয়া হয়নি হার্ড কপি। এসএসসি-র তরফে এদিন জানানো হয়েছে সালমা ও রিক্তা যে এলাকার বাসিন্দা, সেখানে স্কুলে শূন্যপদ আছে। এরপরেই বিচারপতি দুজনকে নিয়োগপত্রের হার্ড কপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পুরো প্রক্রিয়ার ওপর তদন্ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

Next Article